বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী-৩ আসনের (গলাচিপা–দশমিনা) মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, হাসান মামুনদের মতো নেতাদের কারণে গত ১০ মাসে বিএনপির প্রতি মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটা বিএনপির জন্য ভবিষ্যৎ অশনি সংকেত হতে পারে।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

নুরুল হক নুর তার ওপর হামলার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ে কথা বলে সেনাদের সহযোগিতায় প্রায় চার ঘণ্টা হাসান মামুনের ক্যাডারদের দ্বারা অবরুদ্ধ থাকা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

তিনি বলেন, পটুয়াখালী-৩ আসনে তাকে সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি একটি চিঠি দিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের। অথচ সহযোগিতার পরিবর্তে তাকে ও তার নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত হামলা, মারধর, ভাঙচুর করে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।

ভিপি নুর বলেন, গণঅধিকার পরিষদ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়নি। আমরা ভবিষ্যতে বর্তমান হামলা-ভাঙচুর ঘটনাগুলো মনে রাখব। কারণ সরকারের কাছে বিএনপির আগামী ডিসেম্বরে যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি ছিল, সেখানে গণঅধিকার পরিষদ ওই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে একমত পোষণ করেছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা–দশমিনা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম, ওয়ার্ডসহ সর্বস্তরে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। হাসান মামুনের এহেন কর্মকাণ্ড দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে জানাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

হাসান মামুন বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের এনে বিভিন্ন জায়গায় মহড়া এবং রাস্তায় গাছ ফেলে কর্মসূচি পণ্ড করার অপচেষ্টা চালান। এমনকি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাকে গলাচিপা ত্যাগ করার হুমকি দেওয়া হয়।

এ হাসান মামুন বর্তমানে ফ্যাসিস্টদের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে খ্যাত হয়ে উঠেছেন গলাচিপা–দশমিনায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা যে হামলা-ভাঙচুর করেছে তা হার মানায় আওয়ামী লীগের শাসনামলকেও। ভিপি নুর অভিযোগ করেন, চর বিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া এলাকায় অফিস ভাঙচুর, লুটপাটসহ নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে তার ছোট ভাইকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু/এমবি