
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিনেতা ইশরাক হোসেন।
রোববার (১৫ জুন) নগর ভবনের সামনে আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ইশরাক বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে যে রায় এবং সেটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করার জন্য যে বাধা, এটার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অবশ্যই চলমান থাকবে। এখান থেকে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকার যে কাজ করছে, আমি মনে করি ভবিষ্যতে তারাই আইনি জটিলতায় পড়বে। বর্তমানে যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। যে শপথ নিয়ে তিনি উপদেষ্টা হয়ে গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেই সংবিধানকে তিনি লঙ্ঘন করেছেন।
ইশরাক আরও বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন শপথগ্রহণ সম্পন্ন করা সরকারের দায়িত্ব। শপথ না পড়িয়ে আদালতকে ক্রমাগত অবমাননা করে যাচ্ছে সরকার।
এর আগে ঈদুল আজহা সামনে রেখে চলমান আন্দোলন সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তখন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ঈদের পরও যদি শপথের আয়োজন না হয়, তাহলে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা।
গত ১৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত টানা অবস্থান কর্মসূচির ফলে ডিএসসিসি নগর ভবনের নাগরিক সেবা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে ঈদের ছুটির পর আজ থেকে ফের শুরু হয়েছে আন্দোলন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলাফল নিয়ে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ৩ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছরের ২৭ মার্চ সেই নির্বাচন বাতিল করে ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে মেয়র হিসেবে নিশ্চিত করে।
তবে, তাকে শপথ পড়ানো ঠেকাতে ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এর জেরে ১৫ মে থেকে নগর ভবনে অবস্থান শুরু করেন ইশরাক অনুসারীরা। তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইনি জটিলতার কথা তুলে ধরে শপথ আয়োজনে পিছিয়ে থাকে। পরে কয়েক দফা শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে দেয়, যা ইশরাকের শপথ গ্রহণের পথে আর কোনও বাধা রাখে না বলে দাবি করেছেন তার অনুসারীরা।
- এনএমএম/এটিআর