ইসি
ভোটের প্রস্তুতিতে গতি, তারিখ ঘোষণায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১০:১৭
-684f9b1b8ec52.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি না এপ্রিলে এমন সমীকরণে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের পর নির্বাচন ভোটের প্রস্তুতিতে গতি এসেছে কমিশনের।
ওই বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয়, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও আয়োজন করা যেতে পারে নির্বাচন।
কিন্তু ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সেক্ষেত্রে এ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন। ওই যৌথ বিবৃতিতে এমন ইঙ্গিতের পর থেকেই মূলত ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন কত তারিখে হবে এমন প্রশ্নে আলোচনা চলছে সব মহলে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে যখনই নির্বাচন হবে তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার সংশোধনী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ও নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালার সংশোধনীর কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে। এসব বিধিমালা ও নীতিমালা সংশোধনীর বিষয়ে মতামত চাইবে কমিশন।
এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধে নির্বাচন কমিশন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনর্বহালের উদ্যোগ নিতে সচিবালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কাজও দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনা ইসিতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ম্যানুয়াল তৈরির জন্যও প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেয় ইসি।
তাছাড়া চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ওই বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও খসড়া তালিকা উপস্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। ওই তালিকা অনুমোদন হলে তার ওপর দাবি-আপত্তি চাইবে ইসি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০১ সালের সীমানায় ফিরে যাওয়ার ইসির যে পরিকল্পনা ছিল, জটিলতা তৈরির আশঙ্কায় সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে কমিশন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রেখে সীমানায় পরিবর্তন করে খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। ওই খসড়ার ওপর যেসব দাবি-আপত্তি জমা পড়বে, সেগুলোর ওপর শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
নির্বাচন প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে। ভোটের আট-দশ মাস আগে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ এ মুহুর্তে ঘোষণা সম্ভব নয়। তবে ভোটের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে ধারণা পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনও কথা হয় নি। আমরা এখন আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। যখনই হয় যেন আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করতে পারি। আমি এখন আমার প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না।
এসআইবি/এএ