Logo

রাজনীতি

নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচিতে এসে যা বললেন ইশরাক

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৩:৫২

নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচিতে এসে যা বললেন ইশরাক

ছবি : সংগৃহীত

অন্তরবর্তি সরকার পরিকল্পিতভাবে সিটি করপোরেশনের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, ‘গতকাল (১৭ জুন) আমরা জানতে পেরেছি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিব করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্মনিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদে স্বাক্ষর না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন ও দায়ভার আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।’

বুধবার (১৮ জুন) সকাল থেকে ইশরাকের অনুসারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনে একত্রিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকা শহরে মশক নিধন কর্মসূচিকে বেগবান করার জন্য এবং সেটি যাতে চলমান থাকে সেটি নিশ্চিত করার জন্য ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করছি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। সেসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। 

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলনে নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর এ রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ।

ডিআর/এএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ইশরাক হোসেন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর