সংলাপে বক্তব্য দিতে পারেনি, বেরিয়ে গেল সিপিবি, গণফোরাম

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৭:৩৩

ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপের একপর্যায়ে বক্তব্য দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেরিয়ে যান সিপিবি, গণফোরাম এবং বাংলাদেশ এলডিপির নেতারা। তবে পরবর্তীতে কমিশনের সদস্যদের হস্তক্ষেপে তারা আবার আলোচনায় অংশ নিতে ফিরে আসেন।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত সংলাপের তৃতীয় দিনের বৈঠকে। দ্বিতীয় দফার এই আলোচনায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন দল।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে প্রথমে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রতিবাদ জানিয়ে হল ত্যাগ করেন। বাইরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “এই সংলাপের নামে কেবল একতরফা বক্তব্য রাখা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে আমাদের পক্ষে এই আলোচনায় থাকা সম্ভব নয়।”
এরপর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমও একই অভিযোগে হল ত্যাগ করেন।
তবে কিছুক্ষণ পরই কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এবং উপদেষ্টার সহকারী মনির হায়দারের মধ্যস্থতায় তিন দলের নেতারা আবার আলোচনায় ফিরে আসেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও সফর রাজ হোসেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সংলাপে অংশ না নেওয়া জামায়াতে ইসলামী বুধবারের আলোচনায় উপস্থিত হয়। আগের দিনের ‘বয়কট’ অবস্থান থেকে সরে এসে আলোচনায় ফেরায় তাঁদের স্বাগত জানান অন্যান্য দলের নেতারা। করমর্দন ও কোলাকুলির মাধ্যমে তাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ পায়।
জানা গেছে, জামায়াতের অনুপস্থিতির পেছনে ছিল লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের যৌথ বিবৃতি নিয়ে দলের অসন্তোষ।
এই নিয়ে জামায়াতের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, তারা ‘প্রতিবাদস্বরূপ’ মঙ্গলবারের বৈঠকে যোগ দেননি। তবে পরদিন আলোচনা ফেরত আসায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এনএমএম/এমআই