সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি কথিত অডিও কল ছড়িয়ে দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীনকে লক্ষ্য করে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দলটি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে এনসিপির পক্ষ থেকে এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ফ্যাসিবাদপন্থী গোষ্ঠীর কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ নারী নেত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও যৌন হয়রানিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এতে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এনসিপি বলেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অতীতেও দলের নারী নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মানহানিকর প্রচার চালানো হয়েছে। দলটির মতে, এসব আক্রমণ নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সক্ষমতাকে খাটো করার সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘৃণিত অপপ্রচার শুধু ব্যক্তিকে নয়, বরং সমগ্র নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও কর্তৃত্বের ওপর আঘাত। নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বকে খর্ব করতে একটি পুরনো রাজনৈতিক বলয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

এনসিপির অভিযোগ, একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও কয়েকজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এ অপপ্রচারে অসতর্কভাবে অংশ নিয়েছেন। এমনকি একটি মূলধারার সংবাদপত্র তাজনূভা জাবীনকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি ও উপস্থাপন ব্যবহার করেছে, যা আরও উসকানিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে।

বিবৃতিতে দলটি জানায়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনীতিতে এনসিপি নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সে কারণেই এ আক্রমণগুলো শুধু একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং নারী-রাজনীতির ওপর চ্যালেঞ্জ।

এনসিপি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যদি এ ধরনের প্রচারণা অব্যাহত থাকে, তবে তারা আইনি পথে প্রতিকার খুঁজবে। অনলাইন-অফলাইন সব প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। যেখানে তাজনূভা জাবীনের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এনসিপির পক্ষ থেকে এ প্রচারণাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যসাধনের কৌশল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এনএমএম/এমবি