শাপলা প্রতীক চেয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (২২ জুন) নির্বাচন ভবনে দলের নিবন্ধন আবেদন শেষে এ কথা জানান দলটির দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সকল বিধি মেনে আবেদন করেছি। দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছি। আরও দুইটি প্রতীক চেয়েছি কলম ও মোবাইল। তবে আমরা আশা করব নির্বাচন কমিশন আমাদের শাপলা প্রতীক দিবে।’

মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে জুলাইয়ের ৫ তারিখে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল। আগামীর পার্লামেন্ট ভোট ব্যাংকে এনসিপির শাপলা প্রতীকে পুরো বাংলাদেশের মানুষ জয়জয়কার করে দিবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ‘কিন্তু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যারা ব্যক্তিবর্গ রয়েছে তাদের যেমন পুনর্গঠন করতে হবে, তেমনি নিয়মনীতির পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু তার মানে এই না ইলেকশন কমিশন বাংলাদেশ থেকে উধাও হয়ে গেছে। এই কমিশনকে আমরা পুনর্গঠন করতে চাই, শক্তিশালী করতে চাই, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই। সে প্রক্রিয়ায় কিন্তু আমরা আজকে এসেছি। এর মধ্যেও আমরা বলে যেতে চাই। আমরা আজকেও বলছি 'ইলেকশন কমিশন পুনর্গঠন' প্রয়োজন।'

এসময় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আরপিও অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে দল নিবন্ধনের শর্তসমূহ পূরণ করে আমাদের দল নিবন্ধনের আবেদন এইমাত্র দাখিল করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাগণ আমাদের আবেদন রিসিভ (গ্রহণ) করেছেন। আমাদেরকে রিসিভ কপি তারা দিয়েছেন।’ 

এর আগে বিকেল ৪টায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন আবেদন নিয়ে আসেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এ দলটি গঠিত হয়। 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন আবেদন করার শেষ দিনে আজ বিকেল পর্যন্ত আবেদন জমা দিয়েছে দুই ডজনেরও বেশি রাজনৈতিক দল।

এসআইবি/এমআই