বিএনপির মামলায় নেই ইসি রাশেদার নাম, বাদী বললেন ‘টাইপিং মিসটেক’

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৭:৫৩
-(52)-685a91ab0a2d7.jpg)
সাবেক ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা। ছিবি : সংগৃহীত
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনার ও তৎকালীন কমিশনারদের নামে সম্প্রতি মামলা করেছে বিএনপি। সকল কমিশনার নামে মামলা হলেও আসামি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন দ্বাদশ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার নাম।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ও বিএনপির মামলার সমন্বয়কারী সালাহউদ্দিন খান বলেন, ‘টাইপিং মিসটেকের’ কারণে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনারের নাম বাদ পড়েছে। তার নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট থানায় তথ্য পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে রোববার (২২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার নথিতে যাদের নাম পাওয়া যায় তারা হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক ডিজি র্যাব ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম অজ্ঞাত), সাবেক এনএসআই প্রধান ও সাবেক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান ও তৎকালীন নির্বাচন সচিব (নাম অজ্ঞাত)।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, ‘আগে নির্বাচন কমিশনে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন, অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন এবং জনগণের ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। এই কাজগুলো দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’
এসআইবি/এমআই