Logo

রাজনীতি

‘শাপলা’ প্রতীক ইস্যুতে ইসির নিরপেক্ষতা চায় নাগরিক ঐক্য

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৮:৫৮

‘শাপলা’ প্রতীক ইস্যুতে ইসির নিরপেক্ষতা চায় নাগরিক ঐক্য

‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিরপেক্ষ অবস্থান প্রত্যাশা করেছে নাগরিক ঐক্য। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশের খবর-এর সঙ্গে আলাপকালে দলটির দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান মহিদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলাম দলীয় প্রতীক পরিবর্তনের আবেদন করতে। আমাদের বর্তমান প্রতীক ‘কেটলি’ পরিবর্তন করে ‘শাপলা’ বা ‘দোয়েল’ প্রতীক চেয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের সচিব আমাদের জানিয়েছে, যেহেতু ‘শাপলা’ ও ‘দোয়েল’ জাতীয় প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়, তাই বর্তমানে এগুলো বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে যদি প্রতীক সংযোজনের সুযোগ আসে, তখন আমাদের প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের আগে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করার পরেও যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক পায়—এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক ঐক্যের অবস্থান কী হবে?—জবাবে মহিদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি আশা করি। যেহেতু আগে আমরা আবেদন করেছি, কমিশনের উচিত আমাদের প্রাধান্য দেওয়া। তবে যদি কমিশন এনসিপিকে ‘শাপলা’ দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা বিকল্প হিসেবে ‘দোয়েল’ নিতে আগ্রহী। আমরা আমাদের প্রস্তাবে বিকল্প প্রতীক হিসেবে অপশন দিয়েছি।

যদি জাতীয় প্রতীক দেওয়া হয়, তবে দুইদলকেই দিতে হবে, না দিলে কাউকে দেওয়া যাবে না বলে মনে করে নাগরিক ঐক্য।

এর আগে, ১৭ জুন নাগরিক ঐক্য তাদের প্রতীক ‘কেটলি’ পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘শাপলা’ বা ‘দোয়েল’ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে।

এরপর নতুন দল নিবন্ধনের আবেদনের শেষ দিন ২২ জুন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলীয় নিবন্ধনের সঙ্গে ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। দলটির আহ্বায়ক আবেদন জমা দেওয়ার পর জানান, আমরা তিনটি প্রতীক চেয়েছি—শাপলা, কলম ও মোবাইল। তবে আমাদের প্রথম পছন্দ ‘শাপলা’। আমরা বিশ্বাস করি, এটি জনগণের প্রতীক, গণ–অভ্যুত্থানের প্রতীক, গ্রামীণ জীবনের প্রতীক। এই শাপলা মার্কা নিয়ে আমরা আগামী দিনে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে চাই।

শাপলা প্রতীক চাওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের আইনি বিধান পর্যালোচনা করেছি। সেখানে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা পাইনি। জাতীয় ফল ‘কাঁঠাল’ একটি দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। সেক্ষেত্রে শাপলা প্রতীক পাওয়ায় আইনগত কোনো বাধা দেখি না। তাছাড়া, জাতীয় প্রতীক কেবল শাপলা নয়—এর সঙ্গে ধানের শীষ, পাটপাতা ও তারকা যুক্ত আছে। অথচ ‘ধানের শীষ’ ও ‘তারা’ ইতিমধ্যে রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই শাপলা প্রতীক ব্যবহারে বাধা থাকার কথা নয়।

এদিকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত দলের জন্য প্রতীক সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫০টি, আর তফসিলে প্রতীক রয়েছে ৬৯টি। এর মধ্যে ৫০টি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নিবন্ধিত দলগুলোর জন্য, বাকি ১৯টি প্রতীক সংরক্ষিত রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য।

নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতীক সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে ১০০-এ উন্নীত করার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে। বর্ধিত তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলেও জানা গেছে।

এসআইবি/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর