আ.লীগ নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি ববি হাজ্জাজের

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৭
-686ba5b3ebec2.jpg)
আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সরকারের নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদেরকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।
সোমবার (৭ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে চার দফা দাবি উত্থাপন করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো— সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে আসন পুনর্বিন্যাসে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তাই ৬০ দিনের মধ্যে সব আপত্তির নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসন পুনর্বিন্যাসে জেলাভিত্তিক আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এক জেলার আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না। উপজেলাগুলোকে সম্ভব হলে অবিভক্ত রাখতে হবে। ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক সীমারেখা ও যাতায়াত ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, প্রার্থীদের পরিচিতির জন্য প্রতিটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর ছবি সংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। কমিশনের তত্ত্বাবধানে জনবহুল স্থানে অন্তত একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করতে হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো দল বা প্রার্থী যেন ব্যক্তিগত চরিত্র হনন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে প্রচারণা চালাতে না পারে, তা আচরণবিধিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।’
ব্যানার ব্যবহারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা প্রসঙ্গে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘ব্যক্তিগত ঋণের জামিনদারদের ক্ষেত্রে ঋণের মূল আবেদনকারী খেলাপি হলেও মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে ঋণ পরিশোধের স্লিপ জমা দিলে তাকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট বাধা হওয়া উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দল বা অঙ্গসংগঠন সরকারের নির্বাহী আদেশে স্থগিত রয়েছে, তাদের কেন্দ্রীয় বা জেলা-উপজেলা কমিটির সদস্যদেরও নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।’
নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা তুলে ধরে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে হবে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যদি নির্বাচন কমিশনের তফসিল বা তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে, তবে তা অবিলম্বে জাতিকে জানাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের ব্যয়সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করা উচিত। পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থীর সঙ্গে ১০ জন সমর্থকের প্রবেশের অনুমতিও দিতে হবে।’
এসআইবি/এমএইচএস