‘নিষিদ্ধ রিকশা’য় চড়ে র্যালিতে অংশ নিলেন ২ উপদেষ্টা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৬:৩৬

‘ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা’য় চড়ে র্যালিতে অংশ নেন উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ এবং ফরিদা আখতার। ছবি : মোর্শেদ সুমন
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে রিকশা র্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অন্যান্যের সঙ্গে মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে অংশ নিতে দেখা গেছে। তবে ব্যতিক্রমী এই র্যালিতে ‘ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা’য় চড়ে অংশ নিতে দেখা গেছে উপদেষ্টাসহ বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীদের। অথচ, এ ধরনের রিকশা ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে চলাচলের ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর আপিল বিভাগ এক মাসের জন্য ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। যদিও বিভিন্ন পর্যায়ে রিকশা মালিক-শ্রমিক সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আংশিকভাবে কিছু এলাকায় সীমিত পরিসরে ব্যাটারি রিকশা চলাচল শিথিল করে, তবে ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, সরকারি উপদেষ্টাদের সরাসরি এই ধরনের যানবাহনে চড়ে র্যালিতে অংশ নেওয়াকে অনেকে আদালতের আদেশ উপেক্ষা হিসেবেই দেখছেন। বিশেষ করে এই র্যালিটি হয়েছে সরকারি উদ্যোগেই—মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সহযোগী হিসেবে ছিল ‘জুলাই কন্যারা’ নামে একটি সংগঠন।
রিকশা র্যালিটি ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে একটি প্রতীকী কর্মসূচি। ব্যানারে লেখা ছিল— ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না/ জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে রিকশা র্যালি’। তবে প্রতীকী কর্মসূচি যতই আবেগপ্রবণ হোক, তা যদি উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে হয়, তাহলে তা প্রশাসনিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ঢাকার যানজট, দুর্ঘটনা এবং পরিবেশ দূষণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ রিকশায় র্যালি আয়োজন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এমএস/এমএইচএস