Logo

রাজনীতি

বাংলাদেশে আ.লীগের নামে কোনো রাজনীতি হবে না : সালাউদ্দিন আহমেদ

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ২২:০৩

বাংলাদেশে আ.লীগের নামে কোনো রাজনীতি হবে না : সালাউদ্দিন আহমেদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান হবে না, আর আওয়ামী লীগের নামে এদেশে আর কোনো রাজনীতি চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচার করলে হবে না—তাদের বিচার হবে ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসেবে।’

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ‘গণঅভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা ইউনিটের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতারা।

বক্তব্যে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য লাখো শহীদ প্রাণ দিয়েছিল গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্নে। অথচ মাত্র চার বছরের মাথায় শেখ মুজিব নিজেই গণতন্ত্রকে ভ্যানিশ করে একদলীয় শাসন চালু করেছিলেন। তিনি ছিলেন ফ্যাসিস্ট, আর তার কন্যা ডাবল ফ্যাসিস্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আর কখনো ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন দেখতে চায় না।’

‘জুলাই সনদ’ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে একটি খসড়া সনদ দেওয়া হয়। পরে সরকারের অনুরোধে সংশোধিত সংস্করণও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। আমি জানি না, এত ধীরে এগিয়ে চললে সফলতা আসবে কি না।’

এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘৫ আগস্টের মধ্যে সরকারকে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। এই ঘোষণাপত্র ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বীকৃতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

সভায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্রলীগের বিচার চাইলেও কোনো পদক্ষেপ নেই। বরং সম্প্রতি মিটফোর্ডে আমাদের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে কুৎসিত স্লোগান দিয়েছে। যদি এইভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়, ছাত্রদল উপযুক্ত জবাব দেবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান হঠাৎ আসেনি। ২০১৯ সালে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের ওপর বর্বর হামলা থেকে শুরু করে নানা দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের বীজ বপন হয়। শেষ পর্যন্ত তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।’

তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে ছাত্রদলের এমন আয়োজনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানান।

এমএমআই/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপি জুলাই অভ্যুত্থান

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর