জামায়াতের ‘জাতীয় সমাবেশ’
জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:২২
-687b0f6b226c3.jpg)
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। আর মূল পর্ব শুরু হবে দুপুর ২টায়। সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে সমাবেশস্থল।
সকাল ৯টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সারাদেশ থেকে আসা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান নিয়েছেন। জামায়াতের দাবি, আজকের সমাবেশে সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। তাই নেতা-কর্মীদের আনতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করবেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
এর আগে ভোরবেলা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভোররাত থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। অনেকে রাতেই এসে পৌঁছেছেন। ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় প্রতীক বহন করে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল আকারে সমাবেশস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
তার আগে, সমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার (১৮ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকাল ১০টায় কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। আর মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা দুইটায়।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশস্থলে ২০টি পয়েন্টে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকা শহরের বাইরে থেকে যারা আসবেন, তাদের জন্য কমপক্ষে ১৫টি পার্কিং পয়েন্ট রাখা হয়েছে।
সমাবেশটি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জামায়াতের ৭ দফা দাবিগুলো হলো—
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন
৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ
- এসআইবি/এটিআর