জুলাইয়ের নামে অপকর্ম রুখতে প্রশাসনকে এনসিপির আহ্বান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৮

ছবি : সংগৃহীত
‘জুলাই’ বা ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর নাম ব্যবহার করে কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জুলাই কিংবা এনসিপির নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অসাধু কর্মকাণ্ড চালায়, প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। দলীয়ভাবেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শুধু আমাদের নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা-কর্মীই আজ চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে জাতীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের মানুষ শান্তি চায়, সুশাসন চায়।’
একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রোববারের (৩ আগস্ট) শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিতব্য এনসিপির সমাবেশে দলের ভবিষ্যৎ রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এদিন (৩ আগস্ট) শহীদ মিনার থেকে একদফা— সরকার পদত্যাগ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করতে আমাদের কর্মসূচি।’
এ সময় নাহিদ ইসলাম ছাত্রদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের অনুরোধে তারা ৩ আগস্টের কর্মসূচি শহীদ মিনার থেকে সরিয়ে শাহবাগে নিয়েছে। এটা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের একটি দৃষ্টান্ত।’
তবে একই দিনে রাজধানীতে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় জনদুর্ভোগের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র নিয়েও বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, ৫ আগস্টের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যদি ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে উদ্যোগ না নেয়, তাহলে তা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার প্রতি অবমাননা হবে।
‘আমরা চাই, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই পরবর্তী নির্বাচন ও সংসদ গঠিত হোক। কেবল একটি নির্বাচিত সংসদের হাতে সংস্কার ছেড়ে দিলে, তা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে না,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, সরকারকে আগে থেকেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর খসড়া দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তাদের মতামত দিয়েছে। সবগুলো সমন্বয় করে একটি চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র প্রকাশের আশা করছেন তারা। সেই ঘোষণাপত্র যেন সংবিধানের প্রস্তাবনা ও তফসিলেও যুক্ত হয়— এমন দাবি এনসিপির।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার, মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ ও মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।