Logo

রাজনীতি

আ.লীগ ‘ফেরানোর প্রচেষ্টা’র অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন আটক

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৮

আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৯

আ.লীগ ‘ফেরানোর প্রচেষ্টা’র অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন আটক

ডিআরইউ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে আটক করা হয়। ছবি : বাংলাদেশের প্রতিবেদক

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ‘ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা’র অভিযোগে টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অবরুদ্ধ করে কতিপয় ব্যক্তি। অবরুদ্ধকারীরা নিজেদেরকে ‘ছাত্র-জনতা’ বলে পরিচয় দেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়েছে। 

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার দাবিতে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘মঞ্চ ৭১’-এর গোলটেবিল বৈঠক চলাকালে ডিআরইউতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। বৈঠকের শিরোনাম ছিল ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের। 

‘মঞ্চ ৭১’ নামের সংগঠনটি গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, সাবেক আমলাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি এই গোলটেবিলে অংশ নেবেন। 

ডিআরইউতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করা ‘ছাত্র-জনতা’র দাবি, ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারে এই গোলটেবিল বৈঠক মূলত আওয়ামী লীগের। এই আয়োজন দলটিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার একটি অংশ। 

গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করে। সেদিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ মঞ্চ গঠিত হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বীর প্রতীক) ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয় করছেন। বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো—

১. জুলাই ঘোষণাপত্রে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বক্তব্য ও ব্যাখ্যা থাকবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিপক্ষে অসম্মানজনক কিছু থাকলে তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে।

২. মুক্তিযুদ্ধের অর্জন, ইতিহাস ও চেতনা মুছে ফেলে তথাকথিত নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার অপপ্রয়াস বাঙালি জাতি কোনো দিন মেনে নেবে না।

৩. কোনো রাজনৈতিক দলের অপরাধ ও ব্যর্থতার দায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করা যাবে না।

৪ . মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা, ইতিহাস মুছে ফেলা, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়ানো, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করার সঙ্গে সংযুক্ত সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার এবং বিচার করতে হবে।

৫. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের বলতে হবে, তারা কী মনে করে, কী করবে আর কী করবে না।

এসআইবি/এইচকে/এনএনএম

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ব্রেকিং নিউজ ডিআরইউ আওয়ামী লীগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর