৭১-এ জন্ম হলে পাকিস্তানের পক্ষে থাকতাম : ইলিয়াস

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৪

১৯৭১ সালে জন্ম হলে পাকিস্তানের পক্ষেই থাকতেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই লিখেছেন তিনি।
ওই স্ট্যাটাসে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে শিবিরের প্রার্থী সাদিক কাইয়ুমকে ‘পাকিস্তানি প্রার্থী’ দাবি করে তাঁর পক্ষ নেন ইলিয়াস। কাইয়ুমের জন্য ভোট চেয়ে তিনি লিখেছেন, আমি কদিন আগে একটা পোস্ট করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, সাদিক এবং আবিদ দুজনই আমার পছন্দের। কিন্তু গেল কদিন ধরে ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতা যেভাবে শিবিরের প্রার্থীকে ‘পাকিস্তানি রাজাকার’ বানানোর চেষ্টা করছে, তা পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা।
ইলিয়াস মনে করেন, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান দুই ভাগে বিভক্ত হয়। যার পুরো ফল ভোগ করেছে আওয়ামী লীগ এবং ভারত।
তিনি লিখেছেন, কথিত স্বাধীনতার পর ‘পাকিস্তানি’ ট্যাগ দিয়ে ভারত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে লুটেপুটে খেয়েছে।
কাউকে ‘পাকিস্তানি’ ট্যাগ দেওয়ার বিপক্ষে ইলিয়াস। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এখন আর এদেশে পাকিস্তানি ট্যাবলেট বিক্রি করা যাবে না। পাকিস্তানি ট্যাগ মূলত ভারতীয় সফট্ আর্মস। এই আর্মস যারাই ব্যবহার করবে তাদেরকেই আমরা ভারতীয় দালাল মনে করব।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের পক্ষেই থাকবেন জানিয়ে তিনি লিখেন, ৭১-এ আমার জন্ম হলেও আমি পাকিস্তানের পক্ষে থাকতাম। এখনও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে আমি পাকিস্তানের পক্ষেই থাকব। ছাত্রদল প্রমাণ করেছে তাদের ভিপি প্রার্থী ভারতপন্থী। অতএব আমি পাকিস্তানি প্রার্থীর পক্ষে।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইলিয়াস লিখেছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি এই ‘ভারত-পাকিস্তান’ ভাগে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, আমি কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষেই থাকব, ইনশাআল্লাহ্। অতএব সাবধান! বিরোধিতার অনেক জিনিস আছে। কিন্তু আওয়ামী অস্ত্র ব্যবহার করলে আমরা দু-তিনজনই ধস নামিয়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট। দু-চার হাজার খলীল বিরিয়ানি আলম দিয়ে একজন ইলিয়াস হোসাইন, পিনাকী কিংবা কনক সরওয়ারকে কাউন্টার দেয়া যাবে না।
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরপন্থী প্যানেলের জয় হবে বলে বিশ্বাস ব্যক্ত করে পোস্টের শেষে ইলিয়াস লিখেন, আজকের পোস্টের ফলাফল ৯ তারিখে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্।
এইচকে/এনআর/