আবাসিক এলাকায় জাকের পার্টির কার্যালয় নিয়ে অসন্তোষ
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯

রাজধানীর বনানীর আই ব্লকের আবাসিক এলাকায় জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে এ কার্যালয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। ফলে এলাকার স্বাভাবিক আবাসিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার (অব.) মেজর এম. সরোয়ার হোসেন।

সম্প্রতি তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকায় রাজনৈতিক কার্যালয় পরিচালনা সম্পূর্ণ অননুমোদিত এবং আইনগতভাবে এটি বেআইনি।
সরোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, জাকের পার্টির কার্যালয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ওরস বসানো হয়। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে জিকির-আসকারসহ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে অনেক মানুষ সেখানে ভিড় করে। তারা রাস্তায় ও ফুটপাতে শুয়ে থাকে, এলোপাতাড়ি প্রস্রাব করে এবং অশোভন ভঙ্গিতে চলাফেরা করে। এর ফলে পুরো এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো হয়েছে। অন্যদিকে ফুলের টব বসিয়ে পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে নারী ও শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বাসা থেকে বের হতে পারছে না।
পুরো এলাকা উপদ্রবপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে জানা গেছে, জাকের পার্টির কার্যালয়টি প্রকৃতপক্ষে একটি আবাসিক প্লটে পরিচালিত হচ্ছে, যা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এর মাধ্যমে এলাকার আবাসিক চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে। তিনি ডিএনসিসি ও রাজউকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আবাসিক প্লটটির অননুমোদিত ব্যবহার বন্ধ করা হয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এ ধরণের তথ্য তাদের জানা নেই। স্থানীয়ভাবে কোনো বাসিন্দাও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার বলেন, আমরা এ ধরণের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না থাকলে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। একাধিক বাসিন্দার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রয়োজন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, লোকজন রাস্তায় শুয়ে থাকবে কেন? তারা কি মূর্খ? তাদের কি বাড়িঘর নেই? এছাড়া ওরস বছরে মাত্র একবার হয়, ফাল্গুন মাসে। প্রতি বৃহস্পতিবার ওরস বসানো হয়— এ অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, দোকানগুলো মহল্লার লোকজনের সুবিধার জন্য বসানো হয়েছে, এতে কারও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ফুটপাতে যারা চলাফেরা করছেন, তারা কোনো অসুবিধার মুখে পড়েননি।
তিনি উল্লেখ করেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং দুঃখজনক।
এমএইচএস