সারজিস আলম
ভারতীয় আধিপত্যবিহীন দলের সঙ্গে জোটের চিন্তা করছে এনসিপি

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২

শেরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি : বাংলাদেশের খবর
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্বাচন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এনসিপির শাপলা প্রতীকে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। তাই শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব। যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, আমরা বিশ্বাস করি যে অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কোনো দলের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করবে না।
কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো পক্ষ যদি প্রকৃত অর্থে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তা বাস্তব কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে, তাহলে দেশের স্বার্থে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে নির্বাচনী জোটে যাওয়া যেতে পারে। তবে এসব যদি কেবল কথার ফুলঝুড়ি হয়ে থাকে, তাহলে এনসিপি এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে। এমনকি জোট হলেও এনসিপি কেবলমাত্র নিজেদের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করেই ভোটে অংশ নেবে, অন্য কোনো প্রতীকে নয়।
সারজিস আলম বলেন, এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর চায়, নিম্নকক্ষে পিআর চায় না। এ মুহুর্তে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এবং উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেখতে পারি কতটুকু কাজ হলো। একইসাথে এটা দিয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হয় কি না।
উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট ইস্যুতে তিনি জানান, এটি সব উপদেষ্টার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। সেফ এক্সিট মানে এই নয় যে তারা পালিয়ে যাবে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ—এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শুধু নির্বাচন দিয়েই দায় শেষ হয় না। হাজার হাজার মানুষের জীবন ও লক্ষ মানুষের রক্তের দায় রয়েছে। আমরা আশা করি, উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানকালীন সরকারের মতোই সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়াসহ অনেকেই।
শাহরিয়ার শাকির/এমবি