জাতীয় নির্বাচনের দিনই হতে পারে গণভোট : মির্জা ফখরুল

আবু সালেহ, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:০৫
-68ef55cb79060.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের বিকল্প শুধুই গণতন্ত্র। গণভোট বিষয়ে বিএনপির মত হলো, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সদর উপজেলা ও রুহিয়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও থেকে মনোনীত হওয়ার পর কখনও জয়ী হয়েছি, কখনও পরাজিত হয়েছি, কিন্তু জনগণকেই সব সময় পাশে পেয়েছি। জনগণই আমার শক্তি। এখন নতুন করে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার সুযোগ এসেছে, এটি যেন ভুলবশত হারিয়ে না যায়। মানুষ আর ফ্যাসিস্টদের দেখতে চায় না।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর কারাভোগ করেছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুম, খুন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হচ্ছে, তিনি এখনও দেশে ফিরতে পারেননি।’
দেশের মানুষের প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘মানুষ এমন একটি নির্বাচন চায়, যেখানে তারা নিজের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, তাদের কেউ কেউ এখন ভিন্নমত দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা যে দাবিগুলো নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছি, সেগুলোর সমাধান নির্বাচিত সংসদেই করতে হবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংস্কার চায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই সংস্কারের সূচনা হয়েছিল, যা এখনো চলমান। সামনে কঠিন পরীক্ষা রয়েছে—গণতন্ত্রের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ, গণতন্ত্রই একমাত্র পথ যা মানুষের ইচ্ছার বিকাশ ঘটায়।’
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চটকদার খবর নয়, দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে।’
তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ‘গণতান্ত্রিক সনদে’ স্বাক্ষর হবে। সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যেসব বিষয়ে একমত হয়নি, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়া হবে।
এআরএস