Logo

রাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান সিপিবির

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৩

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান সিপিবির

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। তিনি বলেন, ‘বামপন্থিদের সরকার গঠন করতে সকল দেশিপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন সেনপাড়ায় এক জনসভা তিনি এ আহ্বান জানান। সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে সভায় শ্রমিক, কৃষক, যুব ও নারীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল। বক্তৃতা রাখেন- সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লূনা নূর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোতালেব হোসেন ও মহানগর কমিটির সদস্য রিয়াজ উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল।

কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত চার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে হবে। শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করতে শ্রমিক, কৃষক, যুব ও নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে। বামপন্থিদের সরকার গঠন করতে সকল দেশিপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের নেতৃত্বেই আগামী দিনের ক্ষমতায় লড়াইকে অগ্রসর করতে হবে। 

কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল, আজ তারাই রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেবল ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, ব্যবস্থার পরিবর্তনই সময়ের দাবি। কমিউনিস্টরা সেই ব্যবস্থার পরিবর্তনের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আহ্বান জানাই গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী নির্বাচন। আগামীকাল থেকেই আমরা জাতীয় নির্বাচনের কাউন্টডাউন দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামকে জনগণের আন্দোলনে রূপ দেবে। কমিউনিস্টরা বিশ্বাস করে, মুক্তির একমাত্র পথ সমাজতন্ত্র। নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের প্রতি আহ্বান, ব্যবস্থা বদলের লড়াইয়ে কমিউনিস্টদের নির্বাচিত করুন। ডা. সাজেদুল হক এ অঞ্চলে সিপিবির লড়াকু প্রতিনিধি। তাকে সামনে রেখেই মিরপুর ও কাফরুলের প্রতিটি ঘরে সিপিবির বার্তা পৌঁছে যাবে।’

ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এখনও অনিশ্চিত যে ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা, কারণ বর্তমান সরকার এখনও সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি। জনগণ আজ অর্থনৈতিক সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির শিকার। একদিকে জনগণের ঘামঝরানো টাকায় দেশ চলছে, অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা দেশের সম্পদ লুট করছে। সমুদ্রবন্দর, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগসহ জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। প্রতিটি শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, নারী ও মধ্যবিত্ত নাগরিককে একত্রিত হয়ে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে। এ সনদে সিপিবি ও বামপন্থিরা স্বাক্ষর করেনি, কারণ এতে মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিকে মুছে দিয়ে তৈরি এ সনদে সিপিবি স্বাক্ষর করেনি, সামনেও করবে না।’

লূনা নূর বলেন, ‘বর্তমান সমাজব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দমননীতি জনগণকে চরম দুরবস্থায় ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনগণের মালিকানাভিত্তিক রাষ্ট্র ও অর্থনীতি।’

সভাপতির বক্তব্যে হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, ‘দেশের জনগণ আজ অর্থনৈতিক সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির শিকার। একদিকে জনগণের ঘামঝরানো টাকায় দেশ চলছে, অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা দেশের সম্পদ লুট করছে। সমুদ্রবন্দর, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগসহ জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড মোতালেব হোসেন, সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য কমরেড রিয়াজউদ্দিন।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সিপিবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর