ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ নয়টি দল। জোটের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে ইতোমধ্যেই দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক আলোচনা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় গণ অধিকার পরিষদ, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বসেন। সভায় শুধু আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নয়, জুলাই সনদের আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, মুখপাত্র ফারুক হাসান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ড. আবু ইউসূফ সেলিমসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা।
সভা শেষে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক বিকল্প গঠনের চেষ্টা করছি। যেহেতু আমাদের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে ওই জোটের সঙ্গে নেই, তাই এখন আমরা নতুন এক তৃতীয় শক্তি গঠনের বিষয়ে আন্তরিকভাবে আলোচনা করছি। জনগণও চায়, নতুন নেতৃত্ব ও বিকল্প শক্তির উত্থান ঘটুক।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ ও গণভোটের প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে দলগুলোকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোরই উদ্যোগ নিতে হবে। সে জায়গা থেকেই আমাদের আজকের বৈঠক।’
সভায় নেতারা জানান, নতুন জোটের মূল লক্ষ্য হবে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি পুনর্গঠন, সাংবিধানিক সংস্কার, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া।
আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, এই ৯টি দল ছাড়াও অন্যান্য নাগরিক ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তিগুলোকেও নতুন জোটে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
এমএইচএস

