৭ নভেম্বর দেশের ইতিহাসের এক টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৭
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক টার্নিং পয়েন্ট। এই দিনেই দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশকে রক্ষা করেছিল।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেদিন দেশপ্রেমিক সৈনিক ও মানুষ স্বাধীনতার ঘোষক, মহানায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনায় এসে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন এবং অর্থনীতিতে বাজার ব্যবস্থা চালু করেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভিত্তি তৈরি হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ যখন দেশে গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে, তখন জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—ঐক্যবদ্ধ জাতি কখনো পরাজিত হয় না। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই কাজ করছি।
তিনি বলেন, এই দিনটি শুধু বিএনপির নয়, বরং দেশের সব গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের। এই চেতনা থেকেই আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আজ যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আবারও ধ্বংস করার জন্য বিভিন্নভাবে চক্রান্ত চলছে। সেই মুহূর্তে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্মাণ করতে পারব এবং সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। একইসঙ্গে জনগণের ভোটের ও বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
ডিআর/এমবি

