- সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হচ্ছে সোমবার
- কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু
- জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি: হামিদুর রহমান
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারও গভীর সংকটে পড়েছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যুতে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই আন্দোলনের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে কঠিন ঐক্য দেখা গিয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেই ঐক্যের ফল শেখ হাসিনা সরকারের পতন। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে জুলাই আন্দোলনের পক্ষের শক্তিগুলোর মাঝে ব্যাপক অনৈক্য দেখা যাচ্ছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি তৈরি করতে গণভোট ইস্যুতে রাজনীতি এখন চরম সংকটে। আর এই সংকট রাজনৈতিক দলগুলোর চূড়ান্ত অনৈক্যের ফল। অনেকের মনেই শঙ্কা দলগুলোর বিভেদ দেশকে কোনো অস্থিতিশীলতায় নিয়ে যায় কি না?
এদিকে সরকার চাচ্ছে যেকোনো মূল্যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের। আর বিএনপি নাখোশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালায়। তাদের দাবি স্বাক্ষর করা সনদ বদলে দিয়েছে কমিশন। বিএনপি যেকোনো মূল্যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়। আর নির্বাচনের দিনই গণভোট চায় দলটি। দলটির নেতৃস্থানীয়রা বলছেন, নির্বাচন না হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। এমন মত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরও।
কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাচ্ছে গণভোট আগে হোক, পরে নির্বাচন। তাদের সঙ্গে আছে আরো অনেক দল। জামায়াতসহ আটটি দল পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। দাবি না মানলে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার আন্দোলনরত আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলগুলোর নেতারা এই হুঁশিয়ারি দেন। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সমাবেশে ১১ নভেম্বরের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে দাবি মেনে নিতে বলেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ১১ নভেম্বর আটটি রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে রাজধানীতে মহাসমাবেশ হবে। ঢাকার মহাসমাবেশ লাখো জনতার পদভারে মুখর হওয়ার আগে সরকার যেন পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের গণ-আকাক্সক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। তা না হলে ১১ নভেম্বর ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।
এদিকে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি। তারা চায় জুলাই সনদ যেন আইনি ভিত্তি পায়। আর তার জন্য দলটিও চায় গণভোট আগে হোক।
এদিকে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সাত দিনের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। এই সময় শেষ হবে আগামীকাল সোমবার। গত ৩ নভেম্বর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে দলগুলোকে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
সব নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে; সমান্তরালে বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ। এর মাঝে নির্বাচন সঠিক সময়ে হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন অনেকে। অনেকের শঙ্কা আরো অনেক গভীরে; দলগুলোর চূড়ান্ত পর্যায়ের বিভেদ স্বৈরাচারি আওয়ামী লীগকে ফিরে আসতে সাহায্য করে কি না।
মোটা দাগে, জুলাই সনদে বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অন্তর্ভুক্ত করা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ এবং গণভোটের সময়সূচি নির্ধারণ ইস্যুতে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো।
আলোচনায় অংশ নিতে আগ্রহী হলেও জামায়াতের অবস্থান অনমনীয়। অন্যদিকে, বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে তারা নতুন করে আলোচনায় বসতে চায় না। বিএনপির দাবি, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
এদিকে, এনসিপি জুলাই সনদে কোনো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি নয়। ফলে সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। বিএনপি মহাসচিব বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন।
সেদিন রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি তোলা হয়। বৈঠকে অধিকাংশ সদস্য আগের অবস্থান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই বলে মত দেন। ফলে বিএনপির অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এখন আবার নতুন করে আলোচনার কী প্রয়োজন- তা আমাদের বোধগম্য নয়। গণভোটের সময় নিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে। সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকতে হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জামায়াত। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি, যদিও এখনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, গণভোটের তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, গণভোট ও নির্বাচন একসঙ্গে হবে না। যেদিনই নির্বাচন হোক না কেন, গণভোট আগে দিতে হবে। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, কয়েকটি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, তবে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নয়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যমত্যে না আসতে পারে, তাহলে সরকারকেই জুলাই সনদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণভোট অবশ্যই হতে হবে, এবং আমরা বলেছি জুলাই সনদের আদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে দিতে হবে। জুলাই সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বলে কিছু থাকবে না।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে জামায়াত নেতাদের টেলিফোনে কথা হয়েছে। তাদেরকে অনুরোধ করেছি গণভোটটা সংসদ নির্বাচনের সঙ্গেই হবে- এটা যেন তারা মেনে নেন। কিন্তু, জামায়াত নেতারা ইনিয়ে-বিনিয়ে নিজেদের অবস্থানের পক্ষে নানা যুক্তি দেখিয়েছেন। আমরা বিএনপির সঙ্গেও কথা বলব। আমরা চাইছি, দুই পক্ষই কিছুটা ছাড় দিয়ে একটা সমঝোতায় আসুক।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা দলগুলোকে সমঝোতায় বাসানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু অগ্রগতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বার্থে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায় বলে মনে হচ্ছে। যে কারণে জুলাই সনদ নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমরা আপনাদের সমর্থন করেছি, করব ওই সীমারেখার মধ্যে। আর যদি মনে করেন যে, আরেকটি রাজনৈতিক দল দিয়ে আমাদেরকে আহ্বান জানাবেন আলোচনার জন্য। তারা কারা? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যদি আমাদেরকে আহ্বান জানায় কোনো বিষয়ে আলোচনা করার জন্য, যে কোনো ইস্যুতে, আমরা সব সময় আলোচনায় আগ্রহী, যাব। কিন্তু অন্য কোনো একটি রাজনৈতিক দল দিয়ে আমাদেরকে আহ্বান জানানো হচ্ছে কেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে, এর আগে নয়। দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওটাই আমাদের বক্তব্য।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিলে অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা আশা করব পলিটিক্যাল পার্টিগুলো আলাপ আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসবে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি বলেন, আমরা দলগুলোকে কোনো আলটিমেটাম দিইনি, আহ্বান জানিয়েছি। দলগুলো নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু
বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না, স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, তা স্বীকার করেই তিনি বলেছেন, কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায়, তাহলে কী হবে, সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল বাংলাদেশে যদি রাস্তায় নামে এগুলোর প্রতিবাদে, সংঘর্ষ হবে। এ জন্য কি আমরা শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি?
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে আমীর খসরু এ কথাগুলো বলেন।
বিএনপি নেতা কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে গণভোট আগে করাসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের সেই আন্দোলনকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছেন বিএনপির নেতারা।
আমীর খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে।
গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে। সেই সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুসারে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংসদে পাস করার পরে সেই বিষয়গুলো গণভোটে যেতে পারে।
জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি: হামিদুর রহমান
গণভোট বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। তবে বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার রাজধানীতে এক ডায়লগে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি। তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এটি স্বাক্ষরিত হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যখন সরকারের কাছে সুপারিশ করল তখন বিরোধ তৈরি হলো। গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন।
৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কারের ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ তৈরি করে কমিশন। জুলাই সনদে ইতিমধ্যে ২৫টি দল ও জোট স্বাক্ষর করলেও এনসিপি ও চারটি বাম দল এখনো স্বাক্ষর করেনি।
বিকেপি/এমবি

