Logo

রাজনীতি

বাউল সমর্থকদের ওপর হামলার নিন্দা এনসিপির, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪

বাউল সমর্থকদের ওপর হামলার নিন্দা এনসিপির, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি

মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তার সমর্থকদের ওপর হামলা, ধাওয়া ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধর্ম ও সম্প্রীতি সেল। একই সঙ্গে এ ঘটনার নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করে হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৩ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এনসিপি। সংগঠনটি বলছে, ‘যে মতবিরোধ বা অভিযোগই থাকুক— সহিংসতা, হয়রানি বা আইনহীনতার কোনো বৈধতা নেই।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে বাউল, ফকির, সুফি, তাসাওফপন্থীসহ বিভিন্ন ধারার সমৃদ্ধ অবদান রয়েছে। এ বৈচিত্র্য রক্ষা করা মানে আমাদের মানবিক রাষ্ট্রচিন্তা ও ঐতিহাসিক সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। বাংলাদেশটা সবার— এখানে ভিন্নমতকে দমন নয়, বরং শোনা ও বোঝার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

‘ধর্মীয় মত বা ব্যাখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকতেই পারে। কখনো কখনো তা বিতর্কের সৃষ্টি করতেও পারে। কিন্তু তার উত্তরের পথ কখনোই সহিংসতা বা প্রতিশোধ হতে পারে না। এ দেশের দায়িত্বশীল আলেমসমাজ যুগের পর যুগ যে শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও সদাচরণের মাধ্যমে দ্বীনের শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসছেন— এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সমাজে উত্তেজনা বা ভুল ব্যাখ্যা দেখা দিলে এই শান্তিপ্রিয় আলেমসমাজই মানুষকে সংযম, শান্তি ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার পথে রাখার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ধর্ম ও সমাজের প্রশ্নে সহিংসতার কোনো স্থান নেই— এই নীতিতে যারা অবিচল থেকেছেন, আমরা তাদের এই অবস্থানের সঙ্গে একাত্ম। শান্তিপূর্ণ দাওয়াত ও জ্ঞানভিত্তিক সংলাপই দ্বীনের প্রকৃত রাহবারি— এ কথাটি আজ আরও বেশি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।’

দাবি ও আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, ‘মানিকগঞ্জের ঘটনাবলির নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করে হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অভিযোগ বা মতভিন্নতার সমাধান হবে আইন, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে— কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে নয়।’

‘বাউল, ফকির ও তাসাওফপন্থীসহ সকল সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে।’

‘উসকানি, বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে ধর্মীয় নেতা, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সম্প্রীতি, সংযম ও পারস্পরিক সম্মানের পথ আরও শক্তিশালী করতে হবে।’

সবশেষ এনসিপি বলেছে, ‘অন্যায়ের প্রতিকার কখনোই অন্যায় দিয়ে হয় না। সহিংসতা প্রতিস্থাপিত হয় ন্যায়, ধৈর্য ও মানবিক আচরণে। আমরা শান্তি, সংহতি ও আইনের শাসনের পক্ষে— সবসময়। বাংলাদেশটা সবার; এটিকে নিরাপদ, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করতে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।’

ডিআর/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টি হামলা ও ভাংচুর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর