Logo

রাজনীতি

‘কারা যেন বলেছিল এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না!’

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩২

‘কারা যেন বলেছিল এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না!’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইয়েদ জামিল বলেছেন, কারা যেন বলেছিল এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না! 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ওই পোস্টে সাইয়েদ জামিল লিখেছেন, ‘কারা যেন বলেছিল এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না! এরপর এনসিপি মনোনয়ন ফর্ম উন্মুক্ত করে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে ১৫০০ মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি হয়। অর্থাৎ আসন প্রতি গড়ে ৫টি। একটি নতুন দলের জন্য এই পরিসংখ্যান বিস্ময়কর আশাব্যঞ্জক।’

‘গত দুদিন দেশব্যাপী ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে পৃথকভাবে মতবিনিময় শুরু করি আমরা। এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের অধীনস্থ বিভাগীয় সার্চ ও স্ক্রিনিং বোর্ডের সদস্য হিসেবে নতুন অভিজ্ঞতা হয় আমার।’

পোস্টে আরো লেখেন, ‘আমরা রাজশাহী বোর্ডের শাতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলি। তাদের কথা শুনি। পরিকল্পনা শুনি। তাদের রাজনৈতিক দক্ষতা বোঝার চেষ্টা করি। একেকজন লোক একেক রকম। প্রত্যেকেরই একটা গল্প আছে, জার্নি আছে। এরা সবাই হয়ত রাজনৈতিকভাবে দক্ষ নয়, তবে একটা জায়গায় এক, তা হলো এদের রয়েছে দেশ বদলানোর প্রবল আকাঙ্ক্ষা।’

‘রাজশাহী বোর্ডের শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর ভেতর সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক ও নিম্নবর্গের মানুষ যেমন ছিলো তেমনই ছিলো অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভূত শ্রেণিপেশার মানুষ। ছিলো জুলাই যোদ্ধা ও তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও। 

তিনি লেখেন, ‘আমাদের রাজশাহী বোর্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন ইমরাম ইমন ভাই। সদস্য হিসেবে শান্ত ভাই, তুহিন, মাহদী ভাই, রাসেল ভাই, কৈলাসদা সকলেই কাজের জায়গায় দুর্দান্ত ছিলেন।’

‘তারা রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ ফলে দুর্দান্ত থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। আমিই ছিলাম একমাত্র আনাড়ি। আমার জীবনে মিছিল মিটিং স্লোগান নেই, ফলে মাঠ পর্যায়ের পলিটিক্সের কিছু সীমাবদ্ধতা আমার এখনো আছে। এই সাক্ষাৎকার পর্ব অভিজ্ঞদের জন্য তাই তেমন কিছু না হলেও আমার জন্য অভিজ্ঞতা ঝুলি।’

তিনি আশা ব্যক্ত করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এনসিপির রাজনীতি দাঁড়িয়ে গেছে। এনসিপি বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিদান দেবে। এই সক্ষমতা এনসিপির আছে। মানুষ এনসিপিতে আস্থা রাখতে শুরু করছে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ বদলে যাবে।’

এনএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর