প্রবাসীদের শুধু এনআইডি নয়, পাসপোর্টেও ভোটের সুযোগ চায় বিএনপি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:২৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রবাসীদের অনেকেরই এনআইডি নেই। বাস্তব কারণে বেশিরভাগই এনআইডি করতে পারেননি এবং সব দেশেই নতুন এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা প্রস্তাব করেছি।
বাংলাদেশি পাসপোর্টকেও পরিচয়পত্র হিসেবে ধরে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি আমরা বিএনপিই সবার আগে তুলেছিলাম। নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু যাদের এনআইডি আছে তাদের নয়-নতুন করে এনআইডি প্রদানের জন্যও বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানো হয়েছে, যা কার্যকর উদ্যোগ বলে আমরা মনে করি।
নজরুল ইসলাম বলেন, তবে আমরা কিছু পরামর্শও দিয়েছি। যেসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা অনেক বেশি-যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত-সেখানে অনেকেই বসবাস করেন দূরবর্তী অঞ্চলে যেখানে নিবন্ধন করা কঠিন। তাই আমরা অনুরোধ করেছি, এসব দেশে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হোক, যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক বাংলাদেশি ভোটার হতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তাদের সিডিউলে এক ধরনের সুযোগ আছে-মূল নিবন্ধন শেষে কয়েক দিন যারা বাদ পড়বে, তাদের জন্য অতিরিক্ত নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা এটাকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছি।
আমরা প্রবাসীদের শুধু এনআইডি নয়, পাসপোর্টেও ভোট দেওয়ার সুযোগ চেয়েছি যদিও আমরা জানি, অনেক ফেক পাসপোর্ট আছে-যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন মানুষও পূর্ববর্তী সরকারের আমলে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। আমরা চাই না তারা ভোটার হন। এজন্য আমরা বলেছি- পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করা হোক। পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে গ্রামের ঠিকানা থেকে ভেরিফিকেশন করলে যদি সঠিক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন সম্মত হয়েছে এবং বলেছে-সময় কম হলেও তারা বিবেচনায় নেবে।
গণভোট নিয়েও আলোচনা হয়েছে-তবে আমাদের মতে এটি নতুন কিছু নয়। গণভোট আইন আজ পাস হয়েছে, তাই নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো বিতর্ক নেই।
লটারি দিয়ে এসপিদের দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন-এটি ব্যক্তিগত মত, দলের সিদ্ধান্ত নয়। সাংবাদিকদের মধ্যেও কেউ কেউ ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পান যোগ্যতার ভিত্তিতে। তাই এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করতে পারে, তবে দলের পক্ষ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত নেই।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লা, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়ার।
- এসআইবি/এমআই

