Logo

রাজনীতি

আরপিওর অগণতান্ত্রিক সংশোধনী বাতিলের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:২৯

আরপিওর অগণতান্ত্রিক সংশোধনী বাতিলের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাম গণতান্ত্রিক জোট গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও নির্বাচনী আচরণবিধির সাম্প্রতিক সংশোধনীগুলোকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দলের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আলী নেওয়াজের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন।

এর আগে নির্বাচন ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ বলেন, রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ কিংবা জনগণের মতামত না নিয়েই জামানত বৃদ্ধি, নির্বাচনী ব্যয়সীমা বাড়ানো, ‘না’ ভোট সীমিতকরণসহ বিভিন্ন সংশোধনী আনা হয়েছে—যা সাধারণ মানুষের প্রার্থী হওয়ার অধিকারকে সীমিত করে।

জোটের দাবিগুলো হলো—

১. জামানত ও নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধিসহ আরপিওর অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করতে হবে। সকলের ভোটাধিকার ও প্রার্থী হওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

২. জামানত ৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় ৫ লাখ টাকায় নির্ধারণ করতে হবে।

৩. কালোটাকা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৪. নির্বাচনে পোস্টার, লিফলেট, প্রার্থীর পরিচিতি সভাসহ নির্বাচনী ব্যয়ের দায়িত্ব কমিশনকে বহন করতে হবে।

৫. শুধু একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে নয়, সকল আসনেই ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করতে হবে।

৬. আইসিটি মামলায় অভিযুক্ত হলেই প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণার মতো অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করতে হবে।

৭. আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের জন্য অপেক্ষা না করে কমিশনকে নিজ উদ্যোগে (সুয়োমটো) দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে।

৮. ভোটারদের প্রতিনিধি প্রত্যাহারের অধিকার (Right to recall) যুক্ত করতে হবে।

৯. উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা পদত্যাগের কমপক্ষে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে না—এমন বিধান যুক্ত করতে হবে।

১০. নির্বাচনী এলাকার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিজ এলাকায় নয়, অন্য এলাকায় পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

১১. ডি.সি. ও ইউএনও-দের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

১২. তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণ, ফল ঘোষণা ও গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র, তথ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কমিশনের অধীনে রাখতে হবে।

১৩. ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

১৪. যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রদানকারী ও উসকানিমূলক আচরণকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

জোট বলেছে, বর্তমান সংশোধনীগুলো ধনীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে সংসদকে ‘কোটিপতিদের ক্লাবে’ রূপান্তর করবে। পাশাপাশি ‘না’ ভোট সীমিতকরণকে তারা অযৌক্তিক ও ভোটারের অধিকারবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোট অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে দ্রুত এসব দাবির বাস্তবায়ন চেয়েছে।

এসআইবি/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর