অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমি ভোট ডাকাতের এমপি হতে চাই না, ভোট চুরির এমপি হতে চাই না। আমি এমপি হতে চেয়েছি এই সমাজকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি বা আলিশান বাড়ি করার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। আল্লাহ আমাকে যা দেওয়ার দিয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়েই রাজনীতি করছি।’

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত বিশেষ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এতদিন আপনারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ভোট দেওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, যা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শৈলকুপার শিক্ষক প্রতিনিধিদের বলেছি, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আপনারা শুধু নিশ্চিত করবেন— প্রতিটি ভোটার যেন নির্বিঘ্নে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি শৈলকুপার স্বপ্ন দেখি, যেখানে ঘরে ঘরে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস কর্মকর্তা, সৎ ব্যবসায়ী ও ভালো মানুষ তৈরি হবে। আগামী দিনে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের সামনে আসছি। আপনাদের পাশে থাকবো রাজপথে, উন্নয়নের মিছিলে, গণতন্ত্রের মিছিলে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মিছিলে এবং একটি স্বপ্নের শৈলকুপা গড়ার মিছিলে।’

ধর্মীয় অনুভূতির প্রসঙ্গ টেনে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানি আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। বেহেশত কিংবা দোজখ নির্ধারণ হবে কিয়ামতের দিন। অথচ একটি রাজনৈতিক দলের নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে— এটা শিরক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবো। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সবার দোয়া নিয়ে মনোনয়ন জমা দেবো। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে সরে এসে আপনাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সময় কাটাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। আমরা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। একই সঙ্গে এই সময়ের আরেক সূর্যসন্তান শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’

অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এম বুরহান উদ্দীন/এমএইচএস