তারেক রহমানের ফেরার ঘোষণার পর দেশে সহিংস ঘটনা ইঙ্গিতবাহী : মির্জা আব্বাস
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৩৭
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে দেশে নানা ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটছে, যা পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের কতিপয় শক্তি পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের নেতা দেশে আসছেন, মানে গণতন্ত্র দেশে ফিরে আসছে। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক কর্মিসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা আসার পরপরই একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটছে, যা পরিকল্পিত ছকের ইঙ্গিত দেয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
দেড় যুগ ধরে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। তার এক দিন আগেই ঢাকায় গুলি করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান।
তার মৃত্যু ও পরে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোকে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে কতগুলো পত্রিকা অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, কতগুলো প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হলো— এরা কারা? ওরা দেশের শত্রু। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র ও শান্তি চায় না, তারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পানি ঘোলা করে পরে মাছ শিকার করার ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র শহীদ জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা বেগম খালেদা জিয়া লালন করেছেন, আজকে সেই গণতন্ত্র সঙ্গে নিয়ে দেশে আসছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান আসছেন মানে গণতন্ত্র ফেরত আসছে। দেশের জনগণ আজ তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’
মির্জা আব্বাস সরকারের ভূমিকাকেও প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঠেকাতে সরকার বা অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম দেখা যায়নি। এসব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেন মাঠে নেই, তা প্রশ্নের অপেক্ষা রাখে। বিএনপিকে দোষারোপ করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা হত্যা, মব ও গুমের রাজনীতি করি না।’
তিনি জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা রয়েছে। নির্বাচন বানচালের যে কোনো ষড়যন্ত্রের জবাব বিএনপি নির্বাচন দিয়েই দেবে। প্রয়োজনে যারা দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ঢাকা–৫, ৬, ৭, ৯ ও ১০ আসনের মনোনীত প্রার্থীরা। তারা বক্তব্যে দলের পরিকল্পনা ও স্থানীয় প্রস্তুতি নিয়ে তথ্য দেন।
এমএইচএস

