নীলফামারী-১
খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নয়, জমিয়তে আস্থা বিএনপির
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০৩
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল নীলফামারী-১ আসনের জোট প্রার্থী হিসেবে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয়। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জানা গেছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মধ্যে চারটি আসনে সমঝোতা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী-১ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে এ আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপন ভাগ্নে, নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকায় স্থানীয় বিএনপির বড় একটি অংশ তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রত্যাশা করছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
নীলফামারী-১ আসনের প্রার্থী কে হচ্ছেন— এ নিয়ে ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছিল। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব আস্থা রাখলেন মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর ওপর।
মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার খবরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে।
জোট প্রার্থী হিসেবে প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, ইনশাআল্লাহ ডোমার-ডিমলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমি তার যথাযথ প্রতিদান দেব। এই বিজয় হবে গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নীলফামারী-১ আসনটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তবে জোটের ঐক্য ও সংগঠিত প্রচারণা এ আসনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের অসন্তোষ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী সমীকরণে কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ১৯৬৮ সালের ১৫ নভেম্বর নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আলহাজ্ব মো. রশিদুল হাসান সোনারায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে মাওলানা আফেন্দী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাসেদ খান/এমবি

