-681eda8d17edb.jpg)
পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের অন্যতম একটি ফরজ বিধান। ইসলামের যে পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে, তার একটি হজ।
হজ মূলত শারীরিক ও আর্থিক উভয়ের সমন্বিত একটি ইবাদত। তাই উভয় দিক থেকে সামর্থ্যবান মুসলিমের ওপর হজ পালন করা ফরজ।
শারীরিক সামর্থ্যের অর্থ হলো—প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও মক্কায় গিয়ে হজকার্য সম্পন্ন করে ফিরে আসার সামর্থ্য রাখা। এমন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য হজ করা ফরজ। তবে, নারীদের জন্য স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সঙ্গে থাকা জরুরি। (ফাতাওয়া শামি : ২/৪৫৫)
মাহরাম হচ্ছেন, যাদের সঙ্গে কখনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায় না, তারা। যেমন—পিতা, পুত্র, আপন ও সত্ভাই, দাদা-নানা, আপন চাচা ও মামা, ছেলে বা নাতি, জামাতা, শ্বশুর, দুধভাই, দুধ ছেলে প্রমুখ।
তবে একা একা দুধভাইয়ের সঙ্গে এবং যুবতি শাশুড়ির জামাতার সঙ্গে যাওয়া নিষিদ্ধ। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪৬৪)
আর্থিক সামর্থ্যের অর্থ হলো—হজের মৌসুমে কারো কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পত্তি থাকা, যার দ্বারা যানবাহনে করে সে মক্কায় আসা-যাওয়া করতে পারে এবং যাদের ভরণ-পোষণ তার জিম্মায় রয়েছে, হজ থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত তাদের খরচ নির্বাহ করতে সক্ষম হয়।
হজ প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সারা জীবনে একবারই ফরজ হয়। একবার ফরজ হজ আদায়ের পর পরবর্তী হজগুলো নফল হিসেবে গণ্য হবে।
আর আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে যে, কেউ যদি ওমরাহ করেন কিংবা পবিত্র কাবা শরিফ সরাসরি দেখেন, তার ওপর হজ ফরজ হয়। এরকম ধারণা সঠিক নয়। কারণ, হজ ফরজ হওয়ার সাথে কাবা দেখা কিংবা ওমরাহ করার কোনো সম্পর্ক নেই।
তথ্যসূত্র : আলমাসালিক ফিল মানাসিক ১/২৫৭, যুবদাতুল মানাসিক, পৃষ্ঠা : ২১ ও ইরশাদুস সারী ইলা মানাসিকি মুল্লা আলী আলকারী।
ডিআর/বিএইচ