
পবিত্র জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। সপ্তাহের অন্য কোনো দিনের চেয়ে জুমাবারের গুরুত্ব বেশি। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এতোখানি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরাও নাজিল করা হয়েছে।
সপ্তাহের বিশেষ এই দিনটিতে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪০০)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘সেই সময়টি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।’ (আবু দাউদ: ১০৪৮) বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিন আসরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (জাদুল মাআদ: ২/৩৯৪) তাই জুমার দিন বিশেষ করে আসরের নামাজের পর আমাদের দোয়া করা উচিৎ। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করেন। আমীন
বিএইচ/