-682aaf00d0685.jpg)
কওমি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের একজন তালিবুল ইলম (ইলমে দ্বীন অন্বেষণকারী) পরিপূর্ণ সফল হতে চাইলে তাকে শুধু পড়াশোনায় নয়’ বরং পুরো জীবনধারা ও আত্মাকে প্রস্তুত করতে হয়। নিচে পয়েন্ট আকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরছি যা একজন তালিবুল ইলমকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ!
১. সঠিক নিয়ত
শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীনের খেদমতের জন্য ইলম হাসিলের নিয়ত করা। খ্যাতি, দুনিয়া বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেন নিয়তে না আসে।
২. উস্তাদদের প্রতি আদব ও ভালোবাসা
উস্তাদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আদব রক্ষা করা ইলমের বরকতের অন্যতম চাবিকাঠি। উস্তাদদের নির্দেশ মেনে চলা এবং যথাসাধ্য খেদমত করা।
৩. নিয়মিত দরসে উপস্থিত থাকা ও গভীর মনোযোগের সাথে পড়াশোনা করা
নিয়মিত দরসে উপস্থিত থাকা বিনা ওজরে অনুপস্থিত না থাকা। শ্রেণিতে মনোযোগ দিয়ে পাঠ শোনা। প্রতিদিনের মুতালাআ, তাকরার ও হিফজ সময়মতো করা। নোট তৈরি করে বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝে রাখা।
৪. আমলের প্রতি যত্ন
ইলম অর্জনের পাশাপাশি আমল, ইবাদত ও চরিত্র ভালো হওয়া অপরিহার্য। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করা, সুন্নাত ও নফল ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তোলা।
৫. গুনাহ থেকে দূরে থাকা
চোখ, কান, জিহ্বা ও অন্তরকে গুনাহ থেকে বাঁচানো। মোবাইল, গান, হারাম সম্পর্ক বা অবসরে গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকা।
৬. সময়ের অপচয় রোধ করা
সময়ের পূর্ণ ব্যবহার শেখা। ফজরের পর না ঘুমিয়ে পড়াশোনা করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
অপ্রয়োজনীয় আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া, আড্ডা থেকে দূরে থাকা।
৭. দোয়া ও তাওয়াক্কুল
আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে প্রতিদিন দোয়া করা, যেন ইলমে নাফে ও আমলে সালেহ নসিব হয়। দরূদ শরিফ পাঠ ও কোরআন তিলাওয়াত নিয়মিত করা।
৮. নেক সঙ্গ
ভালো তালিবুল ইলমকে হিসেবে বন্ধু বেছে নেওয়া, যারা পড়াশোনায় ও আমলে সাহায্য করে। ফেতনা বা গাফলতের পরিবেশ থেকে দূরে থাকা।
৯. দৈনন্দিন নেযামুল আওকাতের পাবন্দি করা।
সবকিছু নির্ধারিত সময়েই করা। রুটিনমাফিক জীবন পরিচালনা করা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল তালিবুল ইলমকে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানে কবুল করুন। আমিন
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, মারকাযুত তাহনীফ আল ইসলামী ঢাকা
বিএইচ/