-68300cbe4dfba.jpg)
জমজমের পানি আল্লাহর এক অপূর্ব দান। এই পানি সম্পর্কে হাদিস শরিফে একাধিক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জমিনের বুকে জমজমের পানি সর্বোত্তম পানি।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব : ১১৬১) হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তা বরকতময়।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩)
আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতে হবে; বসে পান করা যাবে না। আসলে কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। এক্ষেত্রে সহিহ মত হলো- জমজমের পানি সাধারণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ও বসে—দুইভাবেই পান করা জায়েজ। তবে, রাসুল (সা.) জমজম পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন- এ হাদিসের ভিত্তিতে বহু ফকিহ ও মুহাদ্দিস জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে উত্তম বলেছেন। (আলমুহিতুল বুরহানি : ১/১৭৯), শরহুল মুনইয়াহ ৩৬ ও শরহুশ শামায়েল : ১/২৫০)
আর স্বাভাবিকভাবে জমজমের পানির মালিকানা কোনো ব্যক্তির নয়; বরং সকল মানুষেরই জমজমের পানিতে সমান অধিকার। এজন্য সবাই সেটার থেকে সমানভাবে উপকারিতা অর্জন করতে পারবে।
তবে, যখন কেউ জমজমের পানি বোতল কিংবা ক্যান ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করে নেয়, তখন শরঈ নিয়মে সে ওই পানিটুকুর মালিক হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সংরক্ষিত ওই পানি তার অনুমতি ছাড়া অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
এজন্য কেউ যখন জমজমের পানি নিজে সংরক্ষণ করে, তখন সে নিজেও তা থেকে উপকারিতা হাসিল করতে পারবে এবং চাইলে অন্যের কাছে তা বিক্রিও করতে পারবে।
-জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া আল্লামা ইউসুফ বানুরি টাউন করাচির ফতোয়া অবলম্বনে।
বিএইচ/