Logo

ধর্ম

কোরবানির পশুর নাম কি ‘ট্রাম্প-পুতিন’ রাখা যাবে?

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:১৫

কোরবানির পশুর নাম কি ‘ট্রাম্প-পুতিন’ রাখা যাবে?

মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উচ্চ মূল্যে কোরবানির পশু বিক্রির আশায় বিক্রেতারা অবলম্বন করছেন নানা অভিনব পদ্ধতি। তারই অন্যতম একটি হলো- অনেকে তাদের পশুকে দ্রুত ভাইরাল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উদ্ভট নাম দেন; বিভিন্ন তারকার নাম কিংবা ভাইরাল ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম দিয়ে তাদের পশুকে আলোচনায় আনতে চান।

এখন প্রশ্ন হলো, কোরবানির পশুকে এমন উদ্ভট নাম দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত! কারণ, কোরবানির পশু আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন ও ইসলামের শিআর। তার সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয়, যা পরোক্ষভাবে ইসলামের শিআর নিয়ে ঠাট্টা করা হয় এবং কোরবানির মতো একটি মহৎ ইবাদত হালকাভাবে উপস্থাপিত হয়।

কারণ, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৩২) অর্থাৎ তাকওয়ার দাবি হলো, ইসলামের নিদর্শন বহন করে—এমন জিনিসের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন ও অশুভ আচরণ থেকে বিরত থাকা।

কেননা, কেউ যদি জেনেশুনে ইসলামকে বা আল্লাহর বিধানকে উপহাস করার জন্য এমনটি করে, তাহলে তার ঈমান পর্যন্ত চলে যেতে পারে। কারণ, ইসলামের মৌলিক নিদর্শন অস্বীকার কিংবা তা নিয়ে উপহাস করলে ঈমান থাকে না। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘বলুন, তোমরা কি আল্লাহর আয়াতসমূহ ও রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা ওজর পেশ কোরো না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর অবশ্যই কুফরি করেছ।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ৬৬)

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব কাজ প্রত্যক্ষভাবে ইসলামকে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে করা হয় না। কিন্তু এটা অবশ্যই যে, এর মাধ্যমে কোনো না কোনো ব্যক্তিকে হেয় করা হয়, যা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কোরবানির উদ্দেশে প্রস্তুত করা পশুর বিদ্রুপাত্মক নাম রাখা যেমন অনুচিত, তেমনি এসব প্রাণী ক্রয় না করাও তাকওয়ার দাবি।

বিএইচ/

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

কোরবানির পশু ঈদুল আজহার সব খবর ঈদুল আজহা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর