-683fbd9d9fbd2.jpg)
আজ বুধবার (৪ জুন) থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পালিত হবে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর ৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ব্যাপক জোরদার করেছে সৌদি আরব সরকার।
নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার (সৌদিতে ৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর থেকেই মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা করেন হজযাত্রীরা।
হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছানো সুন্নত। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন করাও সুন্নত।
বুধবার ইহরাম বেঁধে সারা দিন মিনায় অবস্থান করবেন হাজিরা। পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হজের মূল কার্যক্রম হিসেবে হাজিরা আরাফায় অবস্থান করবেন।
হজের অংশ হিসেবে হাজিরা ৮ থেকে ১২ জিলহজ মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করবেন। এরপর সাঈ, তাওয়াফ ও দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী হজের কার্যক্রম শেষ হবে।
হজ পালনের উদ্দেশে এরই মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ পাড়ি দিয়েছেন সৌদিতে। বিপুল সংখ্যক মানুষের নিরাপত্তায় এবার বিশেষ সতর্ক থাকছে দেশটির প্রশাসন। অবৈধ প্রবেশকারীদের ঠেকাতে মক্কার প্রবেশপথগুলোতে রাখা হয়েছে বিশেষ কড়াকড়ি। আইন অমান্যকারীদের জন্য রাখা হয়েছে জরিমানাসহ বেশকিছু শাস্তির বিধান। সর্বক্ষণ নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন ও এ.আই প্রযুক্তি।
হজ পালনকারী মুসল্লিদের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিতে বিশেষ দল মোতায়েন করেছে সৌদির সরকার। এ ছাড়াও বৃদ্ধি করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবার পরিধি। হাসপাতালে অতিরিক্ত আরও ৬০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করেছে সৌদি প্রশাসন।
এদিকে হজ চলাকালীন যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে মক্কা, মদিনা ও পবিত্র স্থানগুলোতে ৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্ক কভারেজ ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ ওয়াইফাই পয়েন্ট।
ডিআর/বিএইচ