Logo

ধর্ম

ইসলামে চাঁদাবাজির নিষেধাজ্ঞা

Icon

মুফতি খায়রুল হাসান বিন মুজাহিদ

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৬

ইসলামে চাঁদাবাজির নিষেধাজ্ঞা

প্রতীকী ছবি

ইসলাম ধর্মে মানুষের সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। কুরআন ও হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ দখল করা বা জোরপূর্বক আদায় করা হারাম ও গুরুতর গুনাহ। 

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে এক বিঘত জমি দখল করবে, কিয়ামতের দিন তার গলায় সাত স্তর জমিনের বোঝা চাপানো হবে’ (বুখারী ও মুসলিম)। চাঁদাবাজি মূলত এক ধরণের ডাকাতি ও জুলুম, যা প্রকাশ্যে কিংবা আড়ালে হতে পারে। এটি শুধু দুনিয়ার আইনি অপরাধ নয়, বরং আখিরাতেও চরম শাস্তিযোগ্য। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না’ (সূরা বাকারা: ১৮৮)।

শরিয়তের দৃষ্টিতে চাঁদাবাজি নাজায়েজ, কারণ এতে অন্যের সম্পদ তার সম্মতি ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এটি সমাজে ভয়, অস্থিরতা ও শোষণ সৃষ্টি করে। মুসলমানের কর্তব্য হলো নিজের হাত কিংবা কথার মাধ্যমে কারো ক্ষতি না করা, বরং শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। 

অতএব, চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকা এবং সমাজকে এ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখা প্রত্যেকের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। এ ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়েরই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের লোভ ও স্বার্থপর স্বভাব দমন করে হালাল উপার্জনের প্রতি মনোযোগী হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। এভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখিরাতে মুক্তি লাভ করাই হবে আমাদের জীবনের সর্বোচ্চ সাফল্য।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর