
ছবি : সংগৃহীত
মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হলো- পবিত্র জুমার দিন। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.)-এর একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে সব দিন সূর্য উদিত হয় অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হলো জুমার দিন। এই দিন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাঁকে জান্নাতে দাখেল করা হয়েছিলো। এই দিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়। কিয়ামতও সংঘটিত হবে এ দিনে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)
অন্য আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক জুমা থেকে আরেক জুমা মধ্যবর্তী সময়ের (গোনাহের) জন্য কাফ্ফারা (পাপমোচনকারী), যদি কবিরা গোনাহ না করা হয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৩৩)
পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরাও রয়েছে। সুরাটিতে জুমার নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহ বলছেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯)
আমাদের সমাজে জুমার দিন সফর করা নিয়ে একটি কথা প্রচলিত আছে, সেটা হলো- কেউ কেউ বলেন যে, জুমার দিন সফরে বের হওয়া মাকরূহ।
আসলে কথাটি এত ব্যাপক নয়; বরং এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা হলো, পথে জুমার নামাজ পড়া সম্ভব না হলে জুমার ওয়াক্ত হওয়ার পর শরীয়তসম্মত ওজর ছাড়া সফরে বের হওয়া মাকরূহে তাহরীমী।
আর জুমার দিন জুমার ওয়াক্ত হওয়ার আগে এবং জুমার পরে সফরে বের হতে কোনো অসুবিধা নেই। তদ্রুপ পথে জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ থাকলে জুমার ওয়াক্ত হওয়ার পরও সফরে বের হওয়ার অনুমতি আছে।
তথ্যসূত্র : আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৬৯, শরহুল মুনইয়া, পৃষ্ঠা : ৪৬৫ ও রদ্দুল মুহতার ২/১৬২
ডিআর/আইএইচ