আমেরিকাকে খোদা মনে করাও এক প্রকার শিরক : মুফতি আব্দুল মালেক

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:১৪
-(1)-68a03ead0ce39.png)
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক বলেছেন, আল্লাহর দেওয়া সিরাতে মুস্তাকিমের বিপরীতে কোনো অবস্থাতেই চলা যাবে না। ইসলামী শরিয়তের মূল ভিত্তি হলো শিরক থেকে দূরে থাকা ও তাকওয়া অবলম্বন করা।
গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি এ সব কথা বলেন।
জুমার খুতবায় তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সূরা আন’আমের ১৫১ থেকে ১৫৩ নম্বর আয়াতে দশটি ওসিয়ত করেছেন। এর মধ্যে প্রথমটি হলো কোনো ধরনের শিরক করবে না। সব শিরক থেকে বেঁচে থাকো। দ্বিতীয় কথা, মা-বাবার অবাধ্য হবে না। দশ নির্দেশনার শেষটিতে বলা হয়েছে- আল্লাহর সিরাতে মুস্তাকিম অনুসরণ করো। এই এক কথার ভেতরেই পুরো শরিয়তের সারকথা নিহিত।’
খতিব বলেন, শিরক হলো মহাপাপ, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গুনাহ। ‘হায়াত-মউতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। রিজিক দাতা একমাত্র আল্লাহ। আসমান-জমিনের স্রষ্টা আল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া কাউকে রব বা মাবুদ মানা শিরক। আজ মানুষ কবরকে মাজার বানিয়ে শিরকের নানা কাজে লিপ্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কবর জিয়ারতের অনুমতি শরিয়তে আছে, তবে মাজার সংস্কৃতি ইসলামের অংশ নয়। ‘নবী কারীম (সা.) কবর জিয়ারতের পদ্ধতি শিখিয়েছেন- সেখানে দোয়া করতে হবে, মাগফিরাত চাইতে হবে। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, কবরকে সেজদা করা হচ্ছে, মাজারের তওয়াফ করা হচ্ছে। এগুলো ভয়ঙ্কর শিরক। তওয়াফ একমাত্র আল্লাহর ঘর কাবা শরিফের জন্য বৈধ।’
মুফতি আব্দুল মালেক বলেন, ‘মাজার বানানো হারাম। তবে কোনো মাজার হয়ে গেলে সেটি ভাঙচুর করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের নয়, বরং কর্তৃপক্ষের। মাজার ইসলামী সভ্যতার অংশ নয়, এটা বেদআতপন্থী ও শিরকপন্থীদের আবিষ্কার।’
খুতবার শেষ অংশে গাজা প্রসঙ্গে তিনি মুসল্লিদের ঈমানি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘ইসরাইল আজও গাজায় জুলুম চালাচ্ছে। এমনকি অমুসলিমরাও প্রতিবাদ করছে। অথচ মুসলমানরা অনেকেই নীরব। মজলুমদের পাশে না দাঁড়ানো, তাদেরকে জালেমের হাতে ছেড়ে দেওয়া-এটাও জুলুম।’
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো, বিশেষ করে মিশর গাজা বর্ডার খুলে দিক। সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দিলে আল্লাহর রহমতও তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমেরিকা বা ইসরায়েলকে খোদা মনে করাও এক প্রকার শিরক। আল্লাহ ছাড়া কেউ কারও ক্ষতি বা উপকার করতে পারে না। আমেরিকাকে ভয় না করে আল্লাহ কে ভয় করো’
প্রত্যেককে নিজ সাধ্যের ভেতরে গাজায় সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা এবং নির্ভরযোগ্য সূত্র খুঁজে বের করে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
আইএইচ/