Logo

ধর্ম

আজানের ফজিলত কী, শিশুরা কি আজান দিতে পারবে?

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৪

আজানের ফজিলত কী, শিশুরা কি আজান দিতে পারবে?

একজন মুসলমানের জন্য ঈমান গ্রহণের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো নামাজ। কোরআনের বহু জায়গায় মুমিনদের একটি বড় পরিচয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা নামাজ কায়েম করে। 

হাদিস শরিফেও নামাজের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যদি নামাজ ঠিক থাকে, তাহলে বাকি আমলও ঠিক হবে। আর যদি নামাজ খারাপ হয়, তবে বাকি আমলও খারাপ হবে।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৪১৩)

আর এই নামাজের আহ্বান হচ্ছে আজান। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য পাঁচবার আজান দেওয়া হয়। আল্লাহর কাছে মুয়াজ্জিনের অনন্য সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। হজরত মুআবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সুদীর্ঘ গ্রীবার (ঘাড়) অধিকারী হবে মুয়াজ্জিনগণ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৮৭)

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইমাম জিম্মাদার, মুয়াজ্জিন আমানতদার। হে আল্লাহ! আপনি ইমামদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আর মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করুন।’ (সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ১৫৩১-১৫৩২)

আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি সওয়াবের প্রত্যাশায় সাত বছর আজান দেবে তার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২০৪)

সাধারণত নামাজের ইমামের মতো আজান দেওয়ার ক্ষেত্রেও মুয়াজ্জিনের প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ যদি কখনো কোনও বুঝমান শিশু আজান দেয়, তাহলেও তার আজান সহিহ হবে। তবে, মনে রাখতে হবে যে, আজান যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং নামাজের আহ্বান, তাই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরই আজান দেওয়া উচিত। (বাদায়েউস সনায়ে ১/৩৭২, আলবাহরুর রায়েক ১/২৫৪ ও রদ্দুল মুহতার ১/৩৯১)

আইএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর