নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৪:০৭
-68aac833bdf25.jpg)
রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সচেতনতা তৈরি করতে গঠিত সংগঠন ইনসাফ-এর আত্মপ্রকাশমূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, ‘নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা ইসলামের শিক্ষা। সমাজে অধিকার প্রদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। কেবল নারী নয়, পুরুষও তার অধিকার পাবে; শ্রমিক যেমন অধিকারী, মালিকও অধিকারী। ইনসাফ যেহেতু একটি ইসলামী সংগঠন, তাই অমুসলিমরাও তাদের প্রাপ্য অধিকার এখান থেকে বুঝে পাবে।’
খতিব আরও বলেন, ‘আমি একটা কথা শুধু বলি- যেটা আমার মুখ থেকে শুনলে আপনাদের কাছে তাজ্জব লাগতে পারে। সেটা হলো, ছাত্রদেরকে যে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়- এটা ছাত্রদের ওপরে জুলুম। কলেজ-ভার্সিটির ছাত্রদেরকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয় না? প্রত্যেক দলের ছাত্র সংগঠন আছে। কেন সেটা? জুলুম। এটা জুলুম।’
সভাপতির বক্তব্যে ইনসাফ-এর সভাপতি, বিশিষ্ট আলেম ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কেবল ওলামায়ে কেরাম নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণসচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে ইনসাফ।’
সংগঠনের পরিচিতিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা আব্দুল গাফফার। তিনি বলেন, ‘নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সচেতনতার জন্য ইনসাফ গঠিত হয়েছে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় যা যা প্রয়োজন, আমরা তা বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
সেমিনারে ‘নারীর অধিকার ও মর্যাদা: বাস্তবতা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসাফ-এর সাধারণ সম্পাদক, শাইখুল হাদিস মাওলানা আবুল বাশার। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘সমাজে নারীরা আর্থিক বঞ্চনা ও শারীরিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। ইসলামের শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
এছাড়া বক্তব্য দেন, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ, এডিআইজি (অব.) নাজিবুর রহমান, বুয়েট-এর প্রফেসর ড. লুতফুল কবীর, মাকতাবাতুল আশরাফের সত্ত্বাধিকারী মাওলানা হাবিবুর রহমান খান
বক্তারা বলেন, নারীর অধিকার রক্ষায় বিবাহ-পূর্ব প্রশিক্ষণ, দাম্পত্য জীবনের কাউন্সেলিং, তালাক ও পরকীয়ার বিষয়ে গণসচেতনতা, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবক্ষেত্রের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ডিআর/আইএইচ