পবিত্র কোরআনের যেই ৩ আয়াত পাঠ করলে ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করেন

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৬
-68ad3c0ea93c3.png)
পবিত্র কোরআন আল্লাহর কালাম, যা মানবজাতির জন্য হেদায়েত ও রহমতের উৎস। এর প্রতিটি আয়াতেই রয়েছে অসীম জ্ঞান, উপদেশ ও বরকত। আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য এমন কিছু বিশেষ আয়াত রেখেছেন, যা পাঠের মাধ্যমে মুমিনগণ অশেষ নাজাত, রহমত ও সওয়াব লাভ করতে পারে। কোরআনের এমন কিছু আয়াত রয়েছে, যা পাঠ করলে আল্লাহর দরবারে ফেরেশতারা দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করে বান্দার জন্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ ওই ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি,হাদিস : ৩০৯০)
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ
উচ্চারণ : হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।
অর্থ : তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়। তিনিই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনিই মালিক, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, নিরাপত্তাবিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অহংকারের অধিকারী। ওরা যাকে শরিক করে আল্লাহ্ তার থেকে পবিত্র, মহান। তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সব সুন্দর নাম তাঁরই । আকাশ ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, তত্ত্বজ্ঞানী। (সুরা হাশর, আয়াত: ২২ থেকে ২৪)
আয়াতগুলো পাঠের নিয়ম
দৈনিক ফজর ও মাগরিবের নামাজের পরে গুরুত্বের সঙ্গে সুরা হাশরের এই শেষ তিনটি আয়াত পাঠ করতে হয়। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা সকালে তিনবার পাঠ করবে ‘আউযু বিল্লাহিস সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম’, এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯২২)
আইএইচ/