Logo

ধর্ম

সকাল-সন্ধ্যা যেই দোয়া পাঠে কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি মেলে

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১১

সকাল-সন্ধ্যা যেই দোয়া পাঠে কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি মেলে

বিপদ-আপদ, মনের আশা পূরণ কিংবা ক্ষমা প্রার্থনার জন্য সব সময় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার দরবারে হাত তুলে দোয়া করে থাকেন। কারণ স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই ঘোষণা দিয়েছেন- তিনি পরম দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। বান্দা যখন আন্তরিকভাবে তাঁর দিকে হাত বাড়ায়, মহান রব কখনোই তাকে নিরাশ ফিরিয়ে দেন না। 

রাসূলুল্লাহ (সা.)ও আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন এবং হাত তুলে দোয়া করতেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর উম্মতদেরও বিভিন্ন সময়ে দোয়ার পদ্ধতি শিখিয়েছেন। সহিহ হাদিসসমূহে সাহাবায়ে কেরাম এ দোয়াগুলো বর্ণনা করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়াটি পড়বে, আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো কিছুই তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন, ফিল আরদি ওয়া-লা ফিস-সামায়ি, ওয়া হুয়াস-সামিউল আলিম।

অর্থ: ‘আল্লাহর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)

এছাড়াও বিপদ-আপদ ও কঠিন পরিস্থিতিতে বিশেষ দোয়া পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন নবীজী (সা.)। এমনকি নিজেও বিপদের সময়ে এ দোয়া পড়তেন।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, সংকটের সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি পাঠ করতেন :

উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া-রাব্বুল আরদি, ওয়া-রাব্বুল আরশিল করীম।

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি মহান ও অতি ধৈর্যশীল। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি আরশে আজীমের প্রভু। আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনি আসমান-যমীনের প্রতিপালক এবং সম্মানিত আরশের অধিপতি।’ (সহিহ বুখারি: ৫৯০৬)

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ ও সফলতার সঙ্গে উত্তরণের তাওফিক দিন, আমিন।

আইএইচ/ 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর