-68bcfd96691de.png)
প্রত্যেক মা-বাবার জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো নেক সন্তান। শুধু দুনিয়াতেই নয়, আখেরাতেও নিজের পরহেজগার সন্তানের কারণে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ জান্নাতে নেককার বান্দার মর্যাদা সমুন্নত করবেন। তখন সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আমার জন্য এই উচ্চ মর্যাদা?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার কারণে।’ (মুসনাদ আহমদ: ১০৬১০)
অর্থাৎ, সন্তানের দোয়ার মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা মা-বাবাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন। তাই সন্তানের দায়িত্ব হলো নিয়মিত মা-বাবার জন্য দোয়া করা।
মৃত্যুর পরও চলতে থাকে সওয়াব
মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমল করার সুযোগ হারায়। তবে এমন কিছু কাজ আছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও চলতে থাকে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; তবে তিনটি আমল বন্ধ হয় না- ১) সদকায়ে জারিয়া, ২) উপকারী জ্ঞান, ৩) নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ মুসলিম: ১৬৩১)
অন্য হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর পরও বান্দার সাতটি কাজের প্রতিদান অব্যাহত থাকে- ১) ইলম শিক্ষা দেওয়া, ২) নদী খনন করা, ৩) কূপ খনন করা, ৪) খেজুরগাছ রোপণ করা, ৫) মসজিদ নির্মাণ করা, ৬) কোরআন দান করা, ৭) নেক সন্তান রেখে যাওয়া, যে মৃত্যুর পর তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। (মুসনাদে বাজজার: ৭২৮৯; সহিহুত তারগিব: ৭৩)
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত মা-বাবার জন্য দুইটি দোয়া এমন, ‘রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
আরেকটি দোয়া, ‘রাব্বির হামহুমা, কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো; যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)
প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব হলো সন্তানকে নেককার হিসেবে গড়ে তোলা। আর সন্তানের দায়িত্ব হলো মা-বাবার জন্য সর্বদা দোয়া করা। কেননা সুসন্তানই হলো মা-বাবার দুনিয়া ও আখেরাতের গৌরব এবং স্থায়ী সওয়াবের পাথেয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নেক সন্তান হওয়ার ও নেক সন্তান গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আইএইচ/