-68bd1dd0e0b9b.png)
নারীদের জন্য প্রসাধনী ব্যবহার নিত্যদিনের স্বভাব। কোথাও ঘুরতে বা বেড়াতে গেলে সাজুগুজু না করলেই না। তো এসব প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে একজন মুসলমান নারীর কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত তা নিয়ে মনে প্রশ্ন থাকতে পারে। যেমন কসমেটিক প্রোডাক্টে যদি শূকরের অঙ্গ থেকে প্রাপ্ত জেলাটিন (Gelatin) ব্যবহার করা হয় এবং সেটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও আসল উপাদান বিদ্যমান থাকে- তাহলে কি সেটি ব্যবহার করা যাবে?
এমন অবস্থায় একজন নারী কি করবেন সে ব্যাপারে ইসলামি বিধান হলো- যদি কোনো কসমেটিক প্রোডাক্টে শূকরের অংশ থেকে প্রাপ্ত জেলাটিন (Gelatin) থাকে এবং তার প্রমাণ থাকে, তবে সেটি ব্যবহার করা শরীয়ত অনুযায়ী হারাম ও নাজায়েজ। কারণ শূকরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই হারাম এবং নাপাক। রাসায়নিক প্রক্রিয়ার পরেও জেলাটিনের আসল সত্তা নষ্ট হয় না, কেবল বাহ্যিক আকার-আকৃতি পরিবর্তিত হয়। তাই এর ব্যবহার বৈধ নয়।
আবার কোনো প্রসাধনীতে স্টেরিক এসিড (Stearic Acid) বা গ্লিসারিন (Glycerin) যদি প্রাণীর চর্বি থেকে তৈরি হয় এবং সেই প্রাণী হারাম বা শরীয়তসম্মতভাবে জবাই না করা হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী ব্যবহার নাজায়েজ হবে। তবে যদি এগুলো উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে বা বৈধ প্রাণী থেকে তৈরি হয়, তাহলে ব্যবহার করা যাবে।
অতএব, যে সব কসমেটিক প্রোডাক্টে নিশ্চিতভাবে হারাম উপাদান আছে সেগুলো ব্যবহার করা হারাম। আর যেখানে হারাম উপাদানের প্রবল সম্ভাবনা থাকে, সেগুলো ব্যবহার থেকেও বিরত থাকা উচিত। আর যেখানে এ ধরনের উপাদানের কোনো প্রমাণ নেই, সেগুলো ব্যবহার করা বৈধ।
কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য কেবল হারাম করেছেন মৃত প্রাণী, প্রবাহিত রক্ত, শূকরের মাংস এবং যে পশু আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৭৩)
জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া আল্লামা ইউসুফ বানুরি টাউনের ১৪৪৭০২১০১৭৮৯ নম্বর ফতোয়া অবলম্বনে
আইএইচ/