-68be462f7c78b.png)
মানুষের জীবনে দোয়া সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। আল্লাহর দরবারে মানুষের অনুরোধ, কান্নাকাটি ও মনের চাওয়া-প্রার্থনা কখনো বৃথা যায় না। বিশেষ কিছু ব্যক্তির দোয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.) বিশেষভাবে বলেছেন, যাদের দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন। নিচে সেই ৫ ব্যক্তির দোয়ার কথা তুলে ধরা হলো যাদের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
১. পিতা-মাতার দোয়া
পিতা-মাতা সন্তানের জন্য যে দোয়া করেন, তা কখনোই প্রত্যাখ্যাত হয় না। সন্তানের কল্যাণের জন্য তাদের হৃদয়ের দোয়া সরাসরি আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিনজনের দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়। মজলুমের দোয়া, মুসাফিরের দোয়া ও পিতা-মাতার সন্তানের জন্য দোয়া।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৯০৫)
২. অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দোয়া
যখন একজন মুসলিম তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার মঙ্গল কামনা করে, তখন ফেরেশতারা তার জন্য একই দোয়া করেন। তাই কাউকে না জানিয়ে তার কল্যাণ চাওয়া অত্যন্ত মহৎ একটি আমল।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করে, তখন ফেরেশতা বলে, ‘আমিন, তোমার জন্যও তাই হোক।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৩২)
৩. রোগীর দোয়া
রোগাক্রান্ত মানুষের দোয়া আল্লাহ বিশেষভাবে কবুল করেন। তারা যখন আল্লাহর কাছে হাত তোলে, তখন তাদের দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতো হয়ে যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো রোগীর কাছে যাও বা তাকে দেখতে যাও, তখন তাকে বলো যেন সে তোমার জন্য দোয়া করে। কারণ, তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতো।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৮)
৪. মজলুমের দোয়া
অত্যাচারিত বা নিপীড়িত ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর দরবারে সরাসরি পৌঁছে যায়। আল্লাহ ও মজলুমের দোয়ার মাঝে কোনো বাধা থাকে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়া থেকে বেঁচে থাকো। কেননা তার দোয়া আর আল্লাহর মাঝে কোনো অন্তরায় থাকে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৪৮)
৫. রোজাদারের দোয়া
রোজাদারের দোয়া অত্যন্ত কার্যকর। কেননা, সারাদিন শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একজন মানুষ কোনো কিছু না খেয়ে রোজা রাখে। চাইলেই কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়া যায় কিন্তু তা সত্বেও আল্লাহর ইবাদত হিসেবে সে পানাহার থেকে বিরত থাকে। সেজন্যই নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময় ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৭৫৩)
আইএইচ/