Logo

ধর্ম

প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর যেসব সুরা পাঠ করবেন

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪২

প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর যেসব সুরা পাঠ করবেন

কোরআনুল কারীম একজন মুমিনের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মুমিন ব্যক্তি দিন-রাতের যেকোনো সময় কোরআন তিলাওয়াত করবে- এটিই বরকতময় ও সৌভাগ্যপূর্ণ জীবনের অন্যতম ভিত্তি। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দুই শ্রেণির মানুষ ছাড়া আর কাউকে হিংসা করা যায় না। এক. যাকে আল্লাহ তাআলা কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং সে দিন-রাত তা তিলাওয়াত করে। এ দৃশ্য দেখে প্রতিবেশীরা বলে- ‘আহা! আমাদেরও যদি এমন জ্ঞান দেওয়া হতো, আমরাও তার মতো আমল করতাম।’ দুই. যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন এবং সে সম্পদ ন্যায়সঙ্গত পথে ব্যয় করে। এটি দেখে অন্যরা বলে- ‘আমাদের যদি অমুকের মতো সম্পদ থাকত, আমরাও তার মতো ব্যয় করতাম।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২৬)

যেহেতু ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ এসেছে আর কোরআন তিলাওয়াত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জিকির। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন নামাজের পর অন্তত যেকোনো একটি সুরা পাঠ করা। হাদিস ও বুযুর্গদের আমল থেকে এমন ৫টি সুরা রয়েছে যেগুলো তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব।

১. ফজরের নামাজের পর সুরা ইয়াসিন

ফজরের পর নির্দিষ্ট সুরা পড়ার কথা সহিহ হাদিসে নেই। তবে ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত জিকিরে বসে থাকার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে। আর কোরআন তিলাওয়াতই সর্বোত্তম জিকির। আতা ইবনে আবি রাবাহ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করবে, তার সব প্রয়োজন পূর্ণ করা হবে।’ (ফাজায়েলে আমাল : ১/৫২)

২. জোহরের নামাজের পর সুরা ফাতহ

জোহরের পর নির্দিষ্ট সুরা পড়ার কথা হাদিসে নেই। তবে অনেক সালাফগণ জোহরের পর সুরা ফাতহ পাঠ করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত ওমর (রা.)-কে বলেন, ‘আজ রাতে আমার কাছে এমন একটি সুরা নাজিল হয়েছে, যা সূর্যালোকিত সব কিছুর চেয়ে উত্তম।’ এরপর তিনি সুরা ফাতহের প্রথম আয়াত তিলাওয়াত করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪১৭৭)

৩. আছরের নামাজের পর সুরা নাবা তিলাওয়াত 

আছরের পর নির্দিষ্ট সুরা পড়ার প্রমাণ নেই। তবে একটি দুর্বল হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা নাবা তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে কেয়ামতের দিন শীতল পানীয় দ্বারা তৃপ্ত করবেন।’ (তাফসিরে কাশশাফ : ৬/৩০৩)

৪. মাগরিবের নামাজের পর সুরা ওয়াকিয়া

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর রোগশয্যায় সুরা ওয়াকিয়ার গুরুত্ব উল্লেখিত হয়েছে। হজরত উসমান (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে, সে কখনো দারিদ্র্যে পতিত হবে না।’ (তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন : ৮/১০৬) রিজিকে বরকত আনে এই সুরা এবং এটি একটি পরীক্ষিত আমল 

৫. এশার নামাজের পর সুরা মুলক

হজরত জাবির (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা সাজদাহ ও সুরা মুলক তিলাওয়াত ছাড়া ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯২)

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যাতে ৩০ আয়াত রয়েছে। এটি পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং তার গুনাহ মাফ হবে। সেটি হলো- তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১) 

আইএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর