-68be8f77241b9.png)
আল্লাহ তাআলা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আসমান ও জমিনের জ্ঞান দান করার পর দুটি বিশেষ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন এবং একটি দোয়া পড়তে নির্দেশ দেন। বিষয় দুটি ইবাদত ও আমল সম্পর্কিত, যা মুমিনদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন।
হাদিসে এসেছে, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের সামনে এমন কয়েকটি আমল তুলে ধরেছেন, যাতে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়।
হজরত আবদুর রহমান ইবনু আয়িশ, ইবনু আব্বাস ও মুয়াজ ইবনু জাবাল (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলা নবিজীকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি জানেন, ‘মালা-উল আ‘লা’ (সর্বোচ্চ ফেরেশতা পরিষদ) কী নিয়ে বিতর্ক করছে?” নবিজী উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, আমি জানি। তারা ‘কাফফারাত’ ও ‘দারাজাত’ নিয়ে বিতর্ক করছে।”
কাফফারাত বলতে বোঝানো হয়েছে-
১. মসজিদে নামাজ শেষে অন্য ওয়াক্তের নামাজ পর্যন্ত বসে জিকির-আজকার করা।
২. জামাতে নামাজের উদ্দেশ্যে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
৩. কষ্টের সময় (যেমন অসুস্থতা বা প্রচণ্ড শীতে) অজুর অঙ্গগুলোতে পানি ভালোভাবে পৌঁছানো।
যে ব্যক্তি এসব আমল করবে, সে কল্যাণের উপর জীবিত থাকবে, কল্যাণের উপর মৃত্যুবরণ করবে। আর তার গুনাহসমূহ মুছে যাবে, যেন সে আজই মায়ের গর্ভ থেকে নতুন জন্ম নিয়েছে।
এরপর আল্লাহ তাআলা নবিজীকে নামাজ শেষে এ দোয়া পড়তে বলেন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ফি‘লাল খাইরাতি, ওয়া তারকাল মুনকারাতি, ওয়া হুব্বাল মাসাকিনি, ওয়া ইজা আরাদতা বি-‘ইবাদিকা ফিতনাতান ফাক্ববিদ্নি ইলাইকা গাইরা মাফতুন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভালো কাজ করার তাওফিক চাই। খারাপ কাজ থেকে বাঁচার শক্তি চাই। গরিব-মিসকিনদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগ চাই। আর যখন তুমি বান্দাদের মধ্যে ফিতনা আনবে, তখন আমাকে ফেতনামুক্ত রেখেই তোমার কাছে তুলে নেবে।
আর দারাজাত হলো-
১. সালামকে প্রসারিত করা।
২. অভাবীদের খাবার খাওয়ানো।
৩. রাতে মানুষ যখন ঘুমে থাকে তখন নামাজ আদায় করা। (তিরমিজি, মিশকাত)
হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী, ‘কাফফারাত’ ও ‘দারাজাত’ উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও আমল। এগুলোর পর নবিজীর শেখানো দোয়াটি পড়তে বলা হয়েছে।
অতএব, প্রতিটি মুমিনের উচিত, কাফফারাত ও দারাজাতের আমল করা এবং উল্লিখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব আমল করার এবং এ দোয়া পাঠের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভের তাওফিক দিন, আমিন।