
ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা যা বাহ্যিক আমলের পাশাপাশি অন্তরের উদ্দেশ্যকেও গুরুত্ব দেয়। আল্লাহর কাছে কোনো কাজের মূল্য নির্ভর করে সেই কাজের নিয়তের উপর। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে মানুষ নেক আমল করেছে, কিন্তু নিয়তের গুণাগুণের কারণে সেই আমল আল্লাহর কাছে কবুল বা বাতিল হয়েছে। যে কারণে সহীহ বুখারীর প্রথম হাদিসেই নিয়তের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।
আলকামা ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) থেকে বর্ণিত, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি- আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য। (সহীহ বোখারি : ১)
বর্ণিত হাদিস থেকে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাই যে, কোনো আমলের মূল্য নিয়তের উপর নির্ভরশীল। বাহ্যিকভাবে একই কাজ দুইজন করলে একজন সওয়াব পাবে, আরেকজন পাবে না- এটি নির্ধারিত হবে নিয়ত দ্বারা। যেকোনো সৎ কাজ করার আগে নিয়ত ঠিক করতে হবে। আর সেই নিয়ত হবে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কেননা, দুনিয়াবি স্বার্থের জন্য ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়। হিজরতের মতো মহৎ কাজও যদি দুনিয়াবি কারণে হয় তবে তার মূল্যও কমে যাবে।
সুতরাং, আমাদের সকল কাজে আত্মসমালোচনা জরুরি। নামাজ, দান-সদকা, কিংবা সামাজিক কাজ- সব কিছুর পেছনে নিয়ত ঠিক আছে কি না তা যাচাই করতে হবে।
আইএইচ/