যে পন্থায় ওহী নাযিল হলে রাসূল (সা.)-এর জন্য কষ্টদায়ক হত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৫

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রেরিত রসূলগণের সাথে বিশেষভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন ওহীর মাধ্যমে। ওহী বা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ দিকনির্দেশনা। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি কিভাবে ওহী নাযিল হতো, সে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের কৌতূহল ছিল প্রবল। সহীহ বুখারীর একটি হাদিসে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা (রা.) আমাদেরকে সে ঘটনার একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, হারিস ইবনু হিশাম (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার প্রতি ওহী কিভাবে আসে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন- কোন সময় তা ঘন্টাধ্বনির ন্যায় আমার নিকট আসে। আর এটি-ই আমার উপর সবচাইতে কষ্টদায়ক হয় এবং তা সমাপ্ত হতেই ফিরিশতা যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নিই, আবার কখনো ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে ফেলি। আয়িশা (রা.) বলেন, আমি প্রচন্ড শীতের দিনে ওহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। ওহী শেষ হলেই তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়ত। (সহীহ বোখারি : ১)
ওহী নাযিল হওয়া ছিল কঠিন একটি অভিজ্ঞতা, যা নবীজির জন্য শারীরিক কষ্টসাধ্য ছিল। আল্লাহর কালামকে ধারণ করার ক্ষেত্রে নবীজি (সা.) ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী ও সতর্ক। ওহী ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য সরাসরি দিকনির্দেশনা, যা অতুলনীয় এক নিয়ামত। তাই নবীজি (সা.) আল্লাহর নির্দেশ পালনে কষ্ট সহ্য করেও সত্যকে আঁকড়ে ধরেছেন।
আইএইচ/